দেশের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনে কেক কাটার মধ্য দিয়ে রেলপথ প্রতিষ্ঠার ১৫৫ বছর উদযাপন করলো রেলওয়ে ফ্যানগ্রুপ। এর পাশাপাশি রেলপথ দিবস ঘোষনার দাবিও জানিয়েছেন ফ্যানগ্রুপের সদস্যরা।
বুধবার সারাদেশের বিভিন্ন স্টেশনের মতো চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনেও কেক কেটে রেল দিবস পালন করা হয়। এর আগের বছর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে স্বারকলিপিও প্রদান করেছিলেন রেলফ্যান গ্রুপের নেতৃবৃন্দ। তবে রেলফ্যান গ্রুপ কয়েক বছর ধরেই ‘জাতীয় রেলপথ দিবস’ ঘোষনার দাবি করে আসলেও আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি ‘জাতীয় রেলপথ দিবস’।
সরকারিভাবে দিসবটি পালন না হলেও ‘রেলফ্যান গ্রুপ’ প্রতিবছর নিজেদের উদ্যেগে এ দিবস পালন করে আসছে। এটিকে স্মরণীয় রাখতে এবারও Bangladesh Railway ফেইসবুক গ্রুপের আয়োজনে বাংলাদেশের সকল ‘রেলফ্যান গ্রুপ’ দিবসটি পালন করেছে। উৎস-গ্রুপ ইভেন্টের মাধ্যমে রেলফ্যান গ্রুপ গতকাল বুধবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি রেলওয়ে স্টেশনে কেক কেটে দিসব পালন করা হয়। এদের মধ্যে ছিল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর স্টেশন, ক্যান্টনম্য্যান রেলওয়ে স্টেশন, কুমিল্লা স্টেশন, রাজশাহী স্টেশন ও ময়মনসিংহ স্টেশন।
ফেইসবুকের ‘রেলফ্যান’ গ্রুপের অন্যতম মডারেটর জয়দীপ দে শাপলু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দেশে রেলপথ প্রতিষ্ঠার ১৫৫ বছরে পড়লো বুধবার। কয়েক বছর ধরেই দাবি করে আসলেও আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘোষনা হয়নি ‘জাতীয় রেলপথ দিবস’। এ দাবির পাশাপাশি পালন করে আসছি দিবসটিও। এ দিবসে রেলফ্যান গ্রুপ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ৬টি রেলস্টেশনে কেক কাটা হয়। একই সাথে রেল সচিবকে স্বারকলিপিও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, রেলের সাথে অনেক কিছুই জড়িত। রেল একটি ঐতিহ্য, সাংস্কৃতি। সাধারণ মানুষকে আরো সচেতন করা, রেল সেবার মান বৃদ্ধিতে কাজ করা, রেলের ঐতিহ্য ও ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে রেল দিবস পালনের দাবিতে মাঠে কাজ করে যাবো।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো ১৫ নভেম্বর ১৮৬২ সনে। রয়েছে অনেক ইতিহাস ,ঐতিহ্য ও স্বাধীনতার স্মৃতিও। লাল সবুজের দেশে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বড় বাহক বাংলাদেশ রেলওয়ে। দেশের যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেল এখন মানুষের আস্থার প্রতীক। এই আস্থা সহজে অর্জন হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে রেল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে থাকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। পরবর্তীতে রেল উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তবুও সকল বাধা পেরিয়ে রেল এখন দৃশ্যমান উন্নয়নের প্রতীক। ব্রিটিশ শাসনে শুরু হওয়া দেশের এই রেল বিভাগ উন্নয়নের পূর্ণতা পায় বর্তমান সময়ে। বর্তমান সরকারই যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলকে মানুষের জীবনের অংশ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। রেলকে আরো গতিশীল করতে বর্তমান সরকার উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজও করছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ১৫ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান