শিরোনাম
- শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
- আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
- জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
- আমেরিকা থেকে এলো গমবোঝাই জাহাজ
- এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
- চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকা’র নির্বাচন ৫ ডিসেম্বর
- কেদারপুরে যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত
- মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
- টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
- জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
- সিরাজগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
- টাঙ্গাইলে গ্রামীণ রাস্তায় জনদুর্ভোগ, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পাকাকরণ হয়নি
- কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
- নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
- সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
- তৃণমূলে ফিরলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী ব্যানার্জি
- বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
- নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে নবাব আলী ওরফে লোবা (৩৭) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নবাব আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ না করলে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে তাকে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নবাব আলী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার চন্দনমাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আশরাফ আলী।
জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু কনা জানান, মামলার বাদী ১৪ বছরের কিশোরী। সম্পর্কে সে নবাব আলীর সৎ মেয়ে। আপন বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে নবাব আলীর বিয়ে হয়। ২০১১ সালে নবাব তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর মেয়েটি তার নানীকে বিষয়টি জানায়। তবে মেয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপন রাখেন। এ ঘটনার সাত মাস পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নবাব তার স্ত্রীকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাতে আবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ জুলাই মেয়েটি বাদী হয়ে তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনা জানার পরেও গোপনের চেষ্টা করার অভিযোগে ওই মামলায় তার নানীকেও আসামি করা হয়। তবে আদালত তার নানীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তবে সৎ বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনাটিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আসামি নবাব আলীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমত আরা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নাহার কাজল।
বিডি প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর