শিরোনাম
- ইউরোপে সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী জার্মানিতে, ২৫ জনে একজন আশ্রয়প্রার্থী
- বাতিল হওয়া সৌর প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি শুরু
- সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
- আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ বলে আক্ষেপ নজরুল ইসলামের
- শিবগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীর মৃত্যু
- ‘ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে’
- জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের
- অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক
- কুয়েতে হজযাত্রীদের নিবন্ধনে লটারি ব্যবস্থা
- তুরস্কে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত, তিন মেয়র গ্রেপ্তার
- সন্ত্রাসবাদের ঘটনা তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ
- গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
- সাবেক সিইসি শামসুল হুদার মৃত্যুতে ইসির শোক
- রাজশাহীতে মব সৃষ্টি করে লুটপাটের অভিযোগ
- রাজধানীতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- শুল্ক-কর জমা দিতে অনলাইনে চালু হলো ‘এ-চালান’ সেবা
- যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপের প্রস্তাব ভারতের
- টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, বাদ লিটন-তাসকিন
- ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবার যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীতে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে নবাব আলী ওরফে লোবা (৩৭) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নবাব আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ না করলে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে তাকে।
দণ্ডপ্রাপ্ত নবাব আলী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার চন্দনমাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আশরাফ আলী।
জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু কনা জানান, মামলার বাদী ১৪ বছরের কিশোরী। সম্পর্কে সে নবাব আলীর সৎ মেয়ে। আপন বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে নবাব আলীর বিয়ে হয়। ২০১১ সালে নবাব তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর মেয়েটি তার নানীকে বিষয়টি জানায়। তবে মেয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপন রাখেন। এ ঘটনার সাত মাস পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নবাব তার স্ত্রীকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাতে আবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ জুলাই মেয়েটি বাদী হয়ে তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। ঘটনা জানার পরেও গোপনের চেষ্টা করার অভিযোগে ওই মামলায় তার নানীকেও আসামি করা হয়। তবে আদালত তার নানীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তবে সৎ বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনাটিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আসামি নবাব আলীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসমত আরা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নাহার কাজল।
বিডি প্রতিদিন/২২ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর