সাভারে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাভারের আমিনবাজার সালেহপুর পশিচমপাড়া এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই স্কুলছাত্রী আমিনবাজার পশ্চিমপাড়া এলাকার ট্রাক চালক আমিনুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো।
এলাকাবাসী জানান, স্কুলে আসা যাওয়ার পথে পাশের গ্রামের আমিনবাজার আসলামের বখাটে ছেলে রিহাবের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে রিহাব প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম এর বিচারের দায়িত্ব নেন। কিন্তু কোনো মীমাংসা ছাড়াই ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হলে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
স্কুলছাত্রীর মা সুফিয়া বেগম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিবেশীদের নানা অভিযোগ শুনে আমি মেয়েকে বকাঝকা দিতাম। অপমান সইতে না পেরে আজ নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষেরা ওই বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনেরা বখাটে রিহাবের বিচারের দাবিতে মিছিলও করে।
অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় এলাকাবাসী ফুসে উঠায় বখাটে রিহাব ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।
সাভার মডেল থানার আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জামাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব