আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিগত ৯ বছরে সরকার দেশের যে উন্নয়ন করেছে তার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে উন্নয়ন দেখিয়েই আওয়ামী লীগ ভোটারদের ভোট নিতে চায়।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা দলটিকে চাঙা করতে চাই। জনসভাকে ঘিরে যে উত্তাল তরঙ্গের সৃষ্টি হবে তার ওপর দিয়েই আমরা আগামী সিটি ও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।
নানক বলেন, এখানে যারা বক্তৃতা করলেন, তাদের মুখ থেকে কোনো ফিরিস্তি শুনলাম না যে, শেখ হাসিনা রাজশাহীতে এই দিয়েছেন। উল্টো আমরা কী করি? ৯ বছর হয়ে গেল, আর ৮ মাস বাকি নির্বাচনের। সেই সময় আমরা বিরাট দাবি করি। ভাবখানা হলো-কিচ্ছু করি নাই, এই দাবিগুলো যদি পূরণ হয় তাহলে ভোট পাব, না হলে পাব না। পেছনে যা করলাম সব ডিলিট। এটি করলে ক্ষতি হয়।
তিনি বলেন, নতুন কিছু করার সময় আর নাই। আমরা যা করেছি, মানুষের জন্য করেছি। শেখ হাসিনা যা করেছেন, দেশের জন্য করেছেন। এই দিয়েই আমরা মানুষের কাছে ম্যান্ডেট নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী আসছেন। এ জন্য উত্তাল তরঙ্গের তৈরি করতে হবে। এ জনসভা যেন সকল মানুষের জনসভায় পরিণত হয় তেমন একটি পরিবেশের সৃষ্টি করতে হবে।
নানক আরও বলেন, এই জনসভাকে সামনে রেখে রাজশাহীকে নতুন করে সাজাতে হবে। প্রত্যেক উপজেলায় ব্যানার ফেস্টুন হতে হবে। মাইকিং করেন জনসভার। ব্যানার লাগান। সেখানে এমপি সাহেবের নামে লাগান। যাকে দেখতে চান, মানে ‘অমুককে দেখতে চাই এমপি হিসেবে’, তারাও লাগান। এবার দেখি কতো লাগাতে পারেন!
রবিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. কাইসার রহমান মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এর আয়োজন করে। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, এটি নির্বাচনের বছর। অনেকেই প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত দেবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কেউ যদি প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তাকে বাধা দেওয়া যাবে না। আমি সংসদ সদস্য বলে তারপরে কেউ হবেন না, এমন মানসিকতা থাকা যাবে না। নেত্রীর কাছে আমলনামা আছে। তিনি যাকে ভাল মনে করবেন, তিনিই হবেন প্রার্থী।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহীর এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, আয়েন উদ্দিন, কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এমপি গোলাম মোস্তফা, গোলাম রাব্বানী, আবদুল ওয়াদুদ, নাটোরের এমপি আবুল কালাম আজাদ, আবদুল কুদ্দুস, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আখতার জাহান প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য একেএম আতাউর রহমান খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ও জিনাতুন নেসা তালুকদারসহ তিন জেলার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন