বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের দাবিতে নবম দিনের মতো কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনে (বিসিসি)। সোমবার নবম দিনেও আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল থেকে সিটি মেয়রের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে থেমে থেমে বিক্ষোভ করে।
এছাড়া তারা বিসিসি’র বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে কক্ষের ভেতরে অবস্থান নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বের করে দেয়। টানা ৯দিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকল দাপ্তরিক কাজকর্ম বন্ধ থাকায় পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে নগর ভবন। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন নাগরিক সেবা পেতে নগর ভবনে গিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন নিরাশ হয়ে।
বিসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বিসিসি’র স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সব শেষ জানুয়ারি মাসে গত বছরের আগস্ট মাসের বেতন পেয়েছেন। সে হিসেবে এখনই তাদের ৫ মাসের বেতন বকেয়া। অপরদিকে দৈনন্দিন মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের ৪ মাসের বেতন বকেয়া হয়েছে। বেতন বকেয়া পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
বকেয়া বেতন এবং প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কাজে না ফেরার কথা জানিয়েছেন আন্দোলকারীদের নেতারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ না হলে আগামী মাসে (মার্চ) কর্মবিরতীর পাশাপাশি ধর্মঘটসহ কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারী দেন বিসিসি’র কর নির্ধারক ও আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন।
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী মেয়রের সাথে আন্দোলনকারীদের সাথে সমঝোতা বৈঠকে নিষ্ফল হওয়ার পর বিসিসি’র সচিব মো. ইসরাইল হোসেন ফের সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাজী মোয়েজ্জেম।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রতি মাসে বেতনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ৩ কোটি টাকা।
বিডি প্রতিদিন/২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ওয়াসিফ