আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিককে অপহরণ করে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে থানা যুব মহিলালীগের আহবায়ক নাজমুন নাহার কাজলের ছেলে নকিবসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে দক্ষিন বাইপাইল এলাকা থেকে অপহৃত সেই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত চার অপহরনকারীকে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন নকিব মিয়া (২০), নাইমুর রহমান দুর্জয় (১৯), ফারুক হোসেন (২২) ও আল আমিন (২০)। এরা সকলেই আশুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকালে উত্তর গাজীরচট এলাকা থেকে সুর্বনা আক্তার নামের এক পোশাক শ্রমিককে জোর করে রিক্সায় তুলে নেয় থানা যুবমহিলা লীগের আহবায়কের ছেলে নকিব ও তার সহযোগীরা। এসময় সেই নারীর আর্তচিৎকারে পথচারিরা তাদের গতি রোধ করার চেষ্টা করলে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে অপহরনকারীরা পোশাক শ্রমিক সেই গৃহবধুকে স্থানীয় চারাল পাড়ার একটি বহুতল ভবনের ফ্লাটে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এঘটনায় নারীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা চার অপহরনকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অপহৃত পোশাক শ্রমিকের স্বামী রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘ দিন ধরেই তার স্ত্রী সুর্বনা আক্তারকে উত্যক্ত করে আসছিলো নকিব ও তার সহযোগীরা। তার মা থানা যুবমহিলা লীগের নেত্রী হওয়ায় তারা থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের নিকট বিচার দিতে ভয় পাচ্ছিলাম। রবিবার বিকেলে উত্তর গাজীরচট এলাকার বাসা থেকে সুবর্না বের হলে নকিব ও সহযোগীরা তাকে জোর করে রিক্সায় তুলে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় চারালপাড়া এলাকায় একটি নীর্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৮ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে আমার স্ত্রীকে উদ্ধারসহ চার অপহরনকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, আশুলিয়া থানা যুবমহিলা লীগের আহবায়কের ছেলে নকিব ও সহযোগীরা এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকায় পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকসহ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে থাকে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে করে বলেন, অপহৃত নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর