সৎ ও যোগ্য পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ইফতেখায়রুল ইসলামসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা যাত্রাবাড়ীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ভুয়া সাংবাদিক ফরমান উল্লাহ খান ওরফে নিরবের ভুয়া মামলাটি ভিত্তিহীন প্রমাণ হওয়ায় তা খারিজ করে দিয়েছেন ঢাকা সিএমএম কোর্ট (৫ নং)। রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী মামলাটি খারিজ করে দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা-হেরোইন-ফেনসিডিলের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানাতেই তিনটি মামলা আছে। কয়েকবার মাদকসহ ধরাও পড়ে পুলিশের হাতে। কয়েকমাস আগে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ সায়েদাবাদ রেললাইন এলাকা থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা, নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও হেরোইনসহ নিরবকে গ্রেফতার করে।
নিজের অপকর্ম চালিয়ে যেতে নিরব এসি ইফতেখায়রুলসহ অন্যদের মাদক ব্যবসায়ে নিয়মিত বখরার প্রলোভন দেখায়। কিন্তু সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হয় সে। এরপর নতুন ফন্দি নেন নিরব। তিনি স্ত্রী শাহানা আক্তারকে দিয়ে ডেমরা জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) ইফতিখায়রুলসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করান।
আদালত সূত্র জানা যায়, গত ১২ জুলাই ঢাকা সিএমএম কোর্টে পুলিশের যাত্রাবাড়ী জোনের এসি, দুই ওসিসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন মাদক মামলায় গ্রেফতার ফরমান উল্লাহ খানের স্ত্রী শাহানা আক্তার। এতে শাহানা অভিযোগ করেন, পুলিশ তার স্বামীর কাছে চাঁদা দাবি করেছিল, না পেয়ে অন্যায়ভাবে মারধর করেছে।
এদিকে, মামলাটি খারিজ হওয়ার পর যোগাযোগ করলে প্রতিক্রিয়ায় এসি ইফতিখায়রুল সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, আলহামদুলিল্লাহ! কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে হেয় করতে চেয়েছিল, পেশাগতভাবে অসৎ প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমার সততার জয় হয়েছে। খুব ভালো লাগছে।
প্রসঙ্গত, আটক মাদকসেবীদের সাংবাদিক পরিচয়ে ছাড়িয়ে নিতে থানায় তদবির করতে আসতেন নিরব। যাত্রাবাড়ী থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলা আছে। চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ডেমরার ভাঙ্গাপ্রেস ছাগলের আড়তের সামনে থেকে ইয়াবাসহ নিরব ও তার সহযোগী আলী আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মুহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। নিরব বর্তমানে কারাগারে আছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর