একাত্তর টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সম্পর্কে আলোচনায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক, কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদা ভাট্টি। তার প্রশ্ন ছিল, 'ঐক্যফ্রন্ট-এর অায়োজনে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করেন কি না?' এর উত্তরে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, 'দুঃসাহসের জন্য ধন্যবাদ। আমি আপনাকে চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।'
তার এ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫৫ জন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিকরা।
বিবৃতিতে যারা সম্মতি দিয়েছেন তারা হলেন- (নাম জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়) ইকবাল সোবহান চৌধুরী সম্পাদক দি ডেইলি অবজারভার ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা, মাহফুজ আনাম সম্পাদক ডেইলি স্টার, নাঈমুল ইসলাম খান প্রধান সম্পাদক দৈনিক আমাদের নতুন সময়, মতিউর রহমান সম্পাদক দৈনিক প্রথম আলো, মুহাম্মদ শফিকুর রহমান সভাপতি জাতীয় প্রেস ক্লাব, আবুল কালাম আজাদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাসস, হারুন হাবীব, সিনিয়র সাংবাদিক, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এডিটর ইন চিফ অ্যান্ড সিইও ইটিভি, শ্যামল দত্ত সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ, নঈম নিজাম সম্পাদক দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, শামসুর রহমান প্রধান নির্বাহী এডিটর ইন চিফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন, মোজাম্মেল বাবু প্রধান সম্পাদক একাত্তর টেলিভিশন, আবু বকর চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মানবকন্ঠ, তৌফিক ইমরোজ খালেদী প্রধান সম্পাদক বিডিনিউজ২৪.কম প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা মনে করি, কেবলমাত্র সাংবাদিকসুলভ প্রশ্ন করায় কাউকে এরকম ক্ষিপ্ত হয়ে ‘চরিত্রহীন’ বলার এখতিয়ার কারোরই নেই। স্বাধীন সাংবাদিকতা ও উন্মুক্ত গণমাধ্যম যখন বিভিন্নভাবে আক্রান্ত তখন রাজনীতিবিদ ও আইনবিদ হিসেবে ব্যারিস্টার মঈনুলের কাছ থেকে এরকম আচরণ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আমরাও ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই নিন্দনীয় আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের এই ঘৃণ্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এটা শুধু মাসুদা ভাট্টিকে অপমান করা হয়েছে বলে নয়, বরং ভবিষ্যতে যাতে কেউ আর এভাবে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ না করেন সেটা নিশ্চিত করার জন্যই অবিলম্বে তার কাছ থেকে প্রকাশ্যে একটি মার্জনা প্রার্থনা আসা প্রয়োজন। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজের প্রতিটি স্তরে সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক আচরণ নিশ্চিত করাই আমাদের সব নাগরিকের লক্ষ্য।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা