ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাচঁরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যে চার যুবকের গুলিবদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে, তাদের খুনের কারণ খুঁজে বের করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ) মো. আবুল কালাম সিদ্দিকের নেতৃত্বে আড়াইহাজার উপজেলা পাচরুখী এলাকায় যান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ঢাকা রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. তাইজুল ইসলামসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা।
এর আগে নিহতদের স্বজনরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলার প্রেক্ষাপটে বুধবার পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল্লাহ আল মামুন এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন। কমিটি গঠনের আদেশে দেখা যায়, তাদের সাত দিনের মধ্যে ডিআইজির কাছে মতামতসহ ‘বস্তনিষ্ঠ প্রতিবেদন’ দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে থাকা নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিদর্শনের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তিনি তদন্তের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জানান, দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির তিন সদস্য। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আড়াইহাজার থানা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। বিকেলে তারা ঢাকায় চলে যান।
এর আগে ২১ অক্টোবর আড়াইহাজারে নিহত ৪ জন হলেন- পাবনা জেলার আতাইউল্লা থানাধীন পুষ্টপাড়া ধর্মগ্রাম এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে ফারুক প্রামাণিক (৩৭), একইগ্রামের মো. লোকমান সরদারের ছেলে জহিরুল (২৫), খায়রুল ইসলামের ছেলে সবুজ (২২), ফরিদপুরের ভাঙা থানার উত্তর আকনবাড়িয়া এলাকার মৃত মনসুর মোল্লার ছেলে লুৎফর রহমান মোল্লা। এর মধ্যে জহিরুল ও সবুজ সম্পর্কে খালাতো ভাই। আর মৃত ফারুক প্রামানিক তাদের দূর সম্পর্কের মামা। নিহত আরেকজন মাইক্রোবাস চালক লুৎফর রহমান মোল্লা (৩৭)। তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকতেন। চারজনকেই মাথার পেছনে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়েছিল বলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নিহতদের পাবনার স্বজনরা দাবি করেন, তাদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। এর ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। পাবনায় সবুজ ও জহিরের নামে কোনো অভিযোগ পুলিশের কাছেও নেই।
দরিদ্র এই দুই যুবক কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার