বরিশাল নগরীর রূপাতলী গ্যাস টারবাইন এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও নারীসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক নব্যসহ দুই সহোদর আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা ও তার ভাই সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী সাবেক ছাত্রদল মিজানুর রহমান মামুন মোল্লার নেতৃত্বে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে এই হামলা ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ করেন হামলার শিকার আঞ্চলিক দৈনিক বরিশাল অঞ্চলের প্রকাশক মোস্তফা কামাল জুয়েল।
জুয়েল জানান, ১৪ বছর আগে তিনি ওই এলাকার আইউব আলীর কাছ থেকে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা হয়। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে গত মার্চ মাসে পুলিশ তাকে জমির দখল বুজিয়ে দেয়। এরপর তিনি ওই জমিতে দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। আদালতের রায়ে ফেকনা (ঝামেলা) আছে দাবি করে ওই জমিতে দোকান নির্মাণ কাজে বাধা দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মামুন মোল্লা। ওই জমির একাংশে থাকা পুকুরের মাছ ধরে নেয় আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগী মোস্তাফিজুর রহমান সোয়েব।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও জমিতে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ এবং মাছ ধরে নেওয়ার বিষয়ে শুক্রবার সোয়েবের কাছে কৈফিয়ত চান জুয়েল। খবর পেয়ে মনির মোল্লা ও তার ভাই মামুন মোল্লা তাদের সহযোগীদের নিয়ে ৮-১০টি মোটর সাইকেল যোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে জুয়েলের পরিবারের উপর চড়াও হয়। তারা জুয়েল (৩৮), তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৫), দুই বোন ঝর্না আক্তার (৩০) ও মুন্নী আক্তার (২৮), চাচা হালিম হাওলাদার (৫২) এবং বেয়াই আবুল বাশারকে (২২) লাঠিসোটা দিয়ে বেদম মারধর করে। এ সময় হামলাকারীরা জুয়েলের বসত ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলায় আহতদের মধ্যে হালিম হাওলাদার ও আবুল বাশারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারী কাউকে আটক করতে পারেনি।
হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা বলেন, সকালে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী সোয়েবের সাথে জুয়েলের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওসি’র নির্দেশে তিনি মাঝ পথ থেকেই ফিরে আসেন।
তিনি ঘটনাস্থলে না গেলে তার বিরুদ্ধে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ করা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা মনির মোল্লা বলেন, এটা তার কপাল (ভাগ্যের দোষ)।
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তঅ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম