রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা লতিফ হত্যা মামলায় দুই ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীনব কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি যাবজ্জীজন দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. বাবু ওরফে কানা বাবু। অপর চার যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন আকির হোসেন, মো. মনির হোসেন, আমির হোসেন ও আব্দুল আজিজ ওরফে আজির। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সবাই পলাতক।
এছাড়া রায়ে মামলার প্রধান আসামি ফেরদৌস ওরফে ফেদু, মো. রাশেদ ও সুমনের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে যতো দ্রুত সম্ভব সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করতে ডিএমপির কমিশনার এবং মতিঝিল থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি দেওয়ায় আবেদন করায় এসআই সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৩ মার্চ তৎকালীন মতিঝিল থানার শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির এ/৫০ নম্বর ভবনের ৪র্থতলার ছাদে অজ্ঞাতনামা পুরুষের গলা ও পায়ের রগকাটা পচা-গলা লাশ উদ্ধার করে একই থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেন। মামলাটির তদন্তকালে দণ্ডিতদের মধ্যে চার জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছিনতাইয়ের ৭০ হাজার টাকা নিহত লতিফের কাছে ছিল। ওই টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিহত ও দণ্ডিতদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে অব্যাহতি পাওয়া ফেরদৌস ওরফে ফেদু, আসামি মোয়াজ্জেম ও বাবু চাপাতি দিয়ে লতিফকে গলা কেটে হত্যা করেন। এসময় রাশেদ, সুমন ও আজি হাত-পা ধরে রাখেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/৩১ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব