আশুলিয়ার ডিইপিজেড নতুন জোনে গাড়ি চাপায় লিসন (২৬) নামের এক পোশাক শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে ১৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে উত্তেজিত শ্রমিকরা। এসময় তারা মহাসড়কে চলমান আরো প্রায় দশটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
শ্রমিক ও পুলিশ সুত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় কারখানা ছুটির পর শ্রমিকরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এসময় ডিইপিজেডের ভেতরে সড়কে একটি গাড়ি দুই পোশাক শ্রমিককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। ২০ শ্রমিক আহত হয়। মুহুর্তের মধ্যেই এ খবর অনান্য শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ডিইপিজেডের ভেতরে পার্কিং করে রাখা কাভার্ডভ্যানসহ ১১টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় শ্রমিকরা নবীনগর-কালিয়াকৈর মাহসড়কে আরো তিনটি গাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়াও মহাসড়কে চলমান আরো প্রায় ১০টি গাড়ীতে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত শ্রমিকরা। এতে নবীনগর-কালিয়াকৈর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
আশুলিয়ার ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ষ্টেশন অফিসার আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালায়। তবে উত্তেজিত শ্রমিকরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় আগুন নেভাতে বিলম্ব হয় বলেও তিনি জানান।
শিল্প পুলিশের পরিচালক সানা শামীমুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে গাড়ী ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শ্রমিকদের সড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়াও নিহত শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যে কোন অপ্রিতীকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দীপু নিহত পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে নিহত পরিবারে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও জানান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর