প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিটি কর্মীকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকবে হবে। প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশের পর রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝটিকা পরিদর্শন করেন। এরপরই রংপুরে কর্মস্থলে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের যথাসময়ে উপস্থিতির হার বেড়েছে।
গত এক সপ্তাহে অনুপস্থিত থাকার কারণে কমপক্ষে ৫০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম কাউনিয়া স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে পরিদর্শন টিম একজন ডাক্তার, একজন নার্স ও বাগানের দায়িত্বরত একজনকে অনুপস্থিত দেখতে পান। কেন তারা যথা সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি এজন্য তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।
এর আগে মিঠাপুকুরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৫ জন কর্মকর্তা- কর্মচারির মধ্যে ৩০ জন নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অমল চন্দ্র সাহা আকস্মিক পরিদশর্নে এসে তাদের অনুপস্থিত দেখতে পান। অনুপস্থিত ওইসব কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নাটিশের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ডা. অমল চন্দ্র সাহার ঝটিকা অভিযানে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছয় জন চিকিৎসকের একজনকেও কর্মস্থলে পায়নি । শুধু তাই নয়, এসময় ওই হাসপাতালের ২৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সবাইকেই অনুপস্থিত পাওয়া গেছে।
গত এক সপ্তাহে রংপুর স্বাস্থ্যবিভাগ রংপুর, দিনাজপুর. ও কুড়িগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঝটিকা অভিান চালায়। এধরনের ঝটিকা অভিযানের ফলে হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার, কর্মকর্তা কর্মচারিষের উপস্থি বেড়েছে বলে দাবি করছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অমল চন্দ্র সাহা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর আমরা প্রতিদিনই হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করছি। গত এক সপ্তাহে তিন জেলা পরিদর্শন করেছি। আগের চেয়ে ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সিভিল সার্জন ডা.আবু জাফর মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম জানান, এ সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। তাই জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে আমরা কাজ করছি। কর্মস্থলে কোন প্রকার গাফলতি বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি আরও বলেন আমরা প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান টিম করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো পরিদর্শন করছি। কোথাও অনিয়ম দেখলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও রোগীদের সেবার মান নিশ্চিত করতে অভিযান চালানো হবে। তিনি এজন্য জনবল বৃদ্ধির জন্য সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর