বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থাই নয়, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। শুক্রবার রাতে নগরীর কালীবাড়ি রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, বিগত মেয়রের সময় দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয় নগর ভবন। উন্নয়ন কাজে ছিল পরিকল্পনার অভাব। যার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে সাধারণ নগরবাসীকে।
মেয়র সাদিক আরও বলেন, নগরীতে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। কোথাও উচু, কোথাও নিচু। ফলে ড্রেন দিয়ে পানি নদীর দিকে প্রবাহিত হচ্ছে না। ড্রেন নির্মাণেও ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। অপ্রশস্ত ও গভীরতা কম হওয়ায় ড্রেনগুলো দিয়ে স্বাভাবিকভাবে পানি প্রবাহ হতে পারছে না। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষা হলেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। যথাযথ স্থানে পকেটমুখও করা হয়নি। ফলে এই ড্রেনগুলো এখন জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মেয়র বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সবগুলো ড্রেন স্বাভাবিক পানি প্রবাহ উপযোগী করার চেষ্টা চলছে। বিসিসি’র কোনো কাউন্সিলরকে ঠিকাদারী কাজ করতে না দেয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান মেয়র সাদিক। এছাড়া আগামীর বাসযোগ্য বরিশাল বিনির্মাণ ও গণপরিবহন সংকট সমাধানসহ নগর উন্নয়নে নানা বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানান সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ।
মতবিনিময় সভায় বিসিসির বিভিন্ন শাখার প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন