খুলনায় হাবিবুর রহমান সবুজ (২৬) নামের ঠিকাদারের খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ভগ্নিপতি মো. গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে খুলনা থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
এদিকে, ময়নাতদন্তের পর শনিবার বিকালে লাশের ৭টি খণ্ডিত অংশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে লাশের মাথা, দুই হাতের চারটি খণ্ড ও পায়ের ওপরের অংশ থেকে থেকে গলা পর্যন্ত দুইটি অংশ ছিলো।
সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুকান্ত দাশ জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীরের একাধিক খণ্ড করা হয়। উদ্ধার করা ৭টি খণ্ডিত অংশের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহতের পরিবার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘আর্থিক লেনদেন’ ও ‘মোবাইল ফোনে সাদি নামের এক ব্যক্তির সাথে কথোপকথন’র কথা পুলিশকে জানিয়েছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশ তদন্তে মাঠে নেমেছে।
পিবিআই’র খুলনা জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, মামলাটি পিবিআই তদন্তের প্রস্তুতি নিয়েছে। কয়েকটি সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্তকাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহানগরীর শের-এ বাংলা রোডে পলিথিন মোড়ানো মরদেহের একটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে দুপুরে ফারাজিপাড়া রোডে ড্রেনের পাশ থেকে দু’টি ব্যাগে থাকা মাথা ও দুই হাত উদ্ধার করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর