স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে নগরে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। রবিবার থেকে কর্মস্থলে যোগ দেবেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাই শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা ও চট্টগ্রাম নগরীর পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে নগরের আসা শুরু করেছে নারী-পুরুষ ও শিশুরা।
নগরের বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে কর্মব্যস্ত মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে যাওয়ার মতো আসার পথেও নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরমুখী মানুষকে। এরপরেও স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে খুশি তারা।
নগর ফেরত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া-আসা নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পাশপাশি নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া গুণতে হয়েছে প্রায় সবার। সিএনজি পাম্পে গ্যাস বন্ধ থাকার অযুহাতে যাওয়ার পথে কোথাও কোথাও পাঁচগুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে পরিবহন শ্রমিকরা। নগরে ফেরার সময়ও একইভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে এর ব্যতিক্রম ছিল বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ। তারা অতিরিক্ত কোনো ভাড়া আদায় করেনি।
উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও দুই পার্বত্য জেলার বাস স্টেশন অক্সিজেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাত উপজেলাসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বাস স্টেশনসহ শাহ আমানত ব্রিজে নগরমুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে শনিবার সকাল থেকে। ভিড় ছিল নগরের অলংকার, এ কে খান ও বিআরটিসি বাস কাউন্টারেও।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন