‘নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত প্রয়োজন’ এই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মো. শামিম হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর ট্রেডার্সের দ্বিতীয় তলা বাড়ি থেকে পুলিশের সাইবার ক্রাইম টিম ওই যুবককে গ্রেফতার করে। শামিম লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার রাঘালিয়া এলাকার মৃত ওজিউল্লার ছেলে।
এর আগে ৬ জুলাই পদ্মা সেতু নিয়ে ফেসবুকে গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো অভিযোগে জেলার তিতাস থেকে খোকন মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে এমন গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে শুধুই সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত করে দেখেছি যারাই এসব করছে জড়িত সবাই সরকার বিরোধী লোক।
তিনি বলেন, গুজবে কুমিল্লায় এখনও কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে কুমিল্লা সদর, মুরাদনগর এবং লাকসাম উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে ৫-৬টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কুমিল্লায় ছেলেধরা সন্দেহে জনতার হাতে যারাই গণপিটুনির শিকার হয়েছেন তারা সকলেই গরিব, দুস্থ ও মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ। সর্বশেষ তিনি গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে কান না দিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল-মামুন, শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তারভীর সালেহীন ইমন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আজিমুল আহসান ও ডিআইও-১ মাহবুব মোর্শেদসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
