মাসখানেক সময় ধরে অস্থিতিশীল হয়ে আছে দেশের পিয়াজের বাজার। কখন কত দামে বিক্রি হচ্ছে তা বলা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালের দাম পাল্টে যাচ্ছে বিকেলেই। আর দাম পরিবর্তনের ঝোঁকটা বরাবরই ঊর্ধ্বমুখী।
এক বাজারের সঙ্গে অন্য বাজার, এমনকি পাশাপাশি দোকানেও পিয়াজের দামে হেরফের চলছে। যে যেভাবে পারছে ক্রেতার পকেট কেটে নিচ্ছে। আর দামে এই সমন্বয়হীনতা খোদ ব্যবসায়ীরাও স্বীকার করছেন। অথচ বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে প্রশাসনিক উদ্যোগও চোখে পড়ার মতো নয়।
তবে আশার কথা হলো, মিসর থেকে আসছে পিয়াজের বড় চালান। ছয়-সাত দিনের মধ্যেই সেই চালান দেশে এলে কমবে পিয়াজের দাম।
ভোক্তা-ক্রেতাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পিয়াজের দাম নিয়ে নৈরাজ্য চললেও সরকার বাজারে দৃশ্যমান কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। নিয়মিত কঠোর অভিযান চললে পিয়াজের বাজার এতটা লাগামহীন হতো না।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে খুচরা বাজারে দেশি পিয়াজ ১১৪ টাকা ও আমদানি করা পিয়াজ ১১১ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ সরকারের হিসাবেই দেশি পিয়াজে ৪০ ও আমদানি করা পিয়াজে ৩৩ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ ৯৭ ও আমদানি করা পিয়াজ ৮৭ টাকার মধ্যেই বিক্রি করার কথা। অথচ কারওয়ান বাজারে পিয়াজের আড়তগুলোতে দেশি ১৩০ থেকে ১৩৫ এবং আমদানি করা পিয়াজ ৯২ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পিয়াজ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের প্রতিদিনের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সেই হিসাব ধরেই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা না করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম আদায় করছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছি। ফড়িয়া-পাইকাররা যাতে বেশি দাম নিতে না পারে সে জন্য তাদেরকে কেনা ও বিক্রির রসিদ সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেধে দেওয়া দামের বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে বিষয়টি আরও কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন