রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে আগামী ৮ নভেম্বর সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে। এই সময়ে দুই নেতা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে ক্ষান্ত দেবেন, এমনটা ভেবেছিলেন কর্মী সমর্থকরা। কিন্তু হয়েছে ঠিক তার উল্টো।
শক্তির মহড়া দিতে দুই নেতা জেলহত্যা দিবসে আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তারা আলাদাভাবে শোডাউন দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। ঢাকায় যাওয়ার আগে এই কর্মসূচির মাধ্যমে তারা নিজেদের সমর্থন তুলে ধরতে চান।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, প্রতিবছরের মতোই কর্মসূচি পালন করা হবে। সভাপতি জেলার কোনো কর্মসূচিতে আসেন না, তাই তাকে ডাকা হয় না।
জানা গেছে, গত ২৬ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলহত্যা দিবসে দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে জেলহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার নির্দেশনা দেন। জেলার সাধারণ সম্পাদককের কর্মসূচিতে আছে প্রথম প্রহরে রাত ১২.০১ মিনিটে জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া। সূর্যাদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে সারাদিন মাইকে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার। সকাল ৮টায় লক্ষ্মীপুর মোড়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর মোড়ে শোক র্যালি ও সমাবেশ। দুপুর ২টায় লক্ষ্মীপুর মোড়ে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল।
এদিকে গত ৩০ অক্টোবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলার সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি জেলহত্যা দিবসের আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টায় গোরহাঙ্গা শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর থেকে শোক র্যালি। র্যালিটি শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা। এই কর্মসূচিতে রাজশাহীর সব সংসদীয় আসনের এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সব উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সহযোগী সংগঠনের জেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নেতাকর্মীসহ উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এনিয়ে তিনি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।
জেলা সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাওয়ার পরিবেশ নেই। তাই সেখানে যাওয়া হয় না। জেলহত্যা দিবসে তার ঘোষিত কর্মসূচি জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচি। জেলার নেতৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
