বিশ্বের শীর্ষ ধনীর দানেও যে নাটক থাকে—২০২৪ সালে ইলন মাস্কের দান নিয়ে আলোচনায় সেটা আরও স্পষ্ট হলো। এক বছরে তিনি দিয়েছেন ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু তার বড় অংশই গেছে এমন সব প্রতিষ্ঠান ও তহবিলে, যেগুলোর নিয়ন্ত্রণ মূলত তার হাতেই।
নতুন কর-তথ্য অনুযায়ী, মাস্কের মাস্ক ফাউন্ডেশন প্রায় ৩৭০ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে তার প্রতিষ্ঠিত সেই অলাভজনক সংস্থায়, যেখানে তিনি এসটিইএম–ভিত্তিক (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতভিত্তিক শিক্ষা) স্কুল গড়ে তোলার কাজ করছেন। আরও ৩৫ মিলিয়ন ডলার গেছে ফিডেলিটি চ্যারিটেবল–এ তৈরি করা তার ডোনার-অ্যাডভাইসড ফান্ডে (এ ধরনের তহবিলে দাতারা আগে কর–সুবিধা পান, পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন সংগঠনে অনুদান দেওয়া হয়)।
অন্য দানগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও দুর্যোগ–সহায়তা বিষয়ক কিছু সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে স্ক্রোল প্রাইজ–এ ২.১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটি খ্রিস্টাব্দ ৭৯ সালে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ে চাপা পড়া প্রাচীন ‘হারকুলেনিয়াম স্ক্রোল’ পাঠোদ্ধারের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
ইহুদি সম্প্রদায়ের ইতিহাস ও নির্যাতন বিষয়ক প্রতিষ্ঠান—হলোকাস্ট মিউজিয়াম এলএ এবং ইউরোপিয়ান জিউইশ অ্যাসোসিয়েশন–কেও তিনি সহায়তা দিয়েছেন।
২০২৪ সালে মাস্ক ফাউন্ডেশনের মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১৪.৭ বিলিয়ন ডলার—২০২৩ সালের তুলনায় ৫৫% বেশি। এরপরও তার দানকে অনেকেই সীমিত বলে মনে করেন। কারণ ২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি মোট দান করেছেন প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে একই সময়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে কয়েকশ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, বর্তমানে তার সম্পদ ৪৩৪.৬ বিলিয়ন ডলার।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল