তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার আমাদের একটা বিশেষ সমস্যা আছে, আর সেটি হচ্ছে আমরা আদিবাসীদের কী নামে অভিহিত করবো- এটা এখনও ঠিক করতে পারিনি। তবে, আমাদের দেশে আমরা সবাই বাঙালি। এখানে জাতিসত্তা ভাগাভাগির কিছু নেই। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে ভূমি নিরাপত্তা, অবৈধ অস্ত্র, স্থানীয় কিছু সংগঠনের দৌরাত্ম্য। এসব সমাধানে স্থানীয় প্রতিনিধিদেরই কাজ করতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রবিবার অনুষ্ঠিত ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি : প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইসিএলডিএস ও ভোরের কাগজ আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। আর সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সুদীপ্ত চাকমা, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেমন্ত ত্রিপুরা প্রমুখ।
বৈঠকে সরকারের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের কৃষ্টি-কালচারকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে নিবিড় বন্ধনে। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে সরকার সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মতো। একই সঙ্গে অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সেখানে অনেক পক্ষ থাকায় সরকারের একার পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয় এবং তা উচিতও নয়। তাই আমরা সব গোষ্ঠীকে একসঙ্গে নিয়েই এগোতে চাই।
বক্তারা বলেন, শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ের পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতির মধ্যে অনেক পার্থক্য। শান্তি চুক্তির কিছু অংশ বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু অংশ হয়নি। তবে দ্রুততম সময়ে চুক্তির বাকি অংশের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশা তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম