২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ইউছুফ নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউছুফের অভিযোগ, তাকে আদমজী ইপিজেড থেকে তুলে নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী ইউছুফ বাদী হয়ে সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তিনি জানান, কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আদমজী ইপিজেড অভ্যন্তরের টিএনএস বাটন কারখানার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। পরে কাউন্সিলরসহ তার লোকজনসহ তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এসময় তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন কাউন্সিলর নিজে।
তবে অভিযুক্ত নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন আলা দাবি করেছেন, তিনি ব্যবসায়ী ইউছুফকে তার লোকজন দিয়ে তুলে এনে সমঝোতা করে ছেড়ে দিয়েছেন। চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, তাকে আসতে বলা হয়েছে, সে আসলে তার মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কাউন্সিলর আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবত আদমজী ইপিজেড অভ্যন্তরের টিএনএস বাটন কারখানায় ব্যবসা করে আসছিলেন। কয়েক দিন পূর্বে ইউছুফ ঐ টিএনএস বাটন কারখানায় ব্যবসা করার জন্য কোটেশন দিয়ে আমার ব্যবসা নিয়ে যেতে চাচ্ছে। তাই ইউছুফকে আমার লোকজন তুলে এনে সমঝোতা করে ছেড়ে দেয়। ইউছুফ বলেছে টিএনএস বাটন কারখানায় সে আর যাবে না।
তবে ব্যবসায়ী ইউছুফ জানান, টিএনএস বাটন কারখানা কর্তৃপক্ষ কোটশেন আহবান করলে তিনি কোটেশন দাখিল করে কাজ পান। কর্তৃপক্ষ তাকে কাজ দিয়েছেন তাই তিনি বৈধভাবে ঐ কারখানায় ব্যবসা করে আসছিলেন। হঠাৎ সোমবার বিকালে ঐ কারখানার সামনে থেকে ৩টি মোটরসাইকেলে করে শাহজাহান, হারুন, নজরুলসহ ৬ জন লোক তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে করে নাসিক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলের কার্যালয়ে নিয়ে নিয়ে যান। সেখানে পূর্ব থেকেই অবস্থান করছিলেন কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা। এসময় ইউছুফকে কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা বলে আমি কাউকে পরোয়া করি না। ইপিজেডে ব্যবসা করতে হলে আমাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ কথা বলেই কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা ও তার লোকজন ইউছুফকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেন, এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক