আদালতের বিচারিক কার্যক্রমের কাগজপত্র জালিয়াতি করে জামিন করানো প্রতারক চক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেনসহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। গ্রেফতার অপর দুইজন দেলোয়ার হোসেনের সহযোগী এবিএম রায়হান ও শামীম রেজা।
বুধবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, রংপুরের পীরগাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, ২০১৪ সালের অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত ঘটনায় রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা হয়। রাজবাড়ী সদর থানার পূর্ব বাংলার চরমপন্থী দলের নেতা মো. ইয়ার আলী অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে রাজবাড়ী থানা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অ আইন ( সংশোধনী ২০০২ ) এর ১৯ / ১৯৮ ধারা মতে অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
পরে আসামী নিম্ন আদালতে জামিন না পাওয়ায় প্রতারক চক্র অ্যাডভোকেট ঝর্ণা সাথির মাধ্যমে মামলার এজাহার, জব্দ তালিকা ও অভিযোগ পত্র জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন ভাবে তৈরি করে হাইকোর্ট বিভাগে জামিনের আবেদন করেন। জামিন আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের আপিল আদালত আসামী মো. ইয়ার আলীকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ মামলার মূল কাগজপত্র যাচাই করতে গেলে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্টার। এতে মামলাটির তদন্ত ভার পড়ে সিআইডির উপর। সিআইডি তদন্তে নেমে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আসামি অ্যাডভোকেট ঝর্ণা সাথির সহকারী মো. হারুন ও রশিদকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত কাগজপত্র নকল করে ৫০ জনের বেশি আসামিকে জামিন করিয়ে দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব