জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সন্তান ও রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে জায়গা না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ ঝেড়েছেন রাজশাহীর তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মহানগরের চারটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। নির্ধারিত বক্তব্য রাখার সময় তারা এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এক সময় রাজশাহী বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। সেই দূর্গে এখন আওয়ামী লীগের শক্ত আস্তানা। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা ও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে খায়রুজ্জামান লিটনের অবদান অনস্বীকার্য। আর সেই খায়রুজ্জামান লিটনের কেন্দ্রে স্থান না পাওয়া দুঃখজনক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সভাপতি আতিকুর রহমান কালু বলেন, খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। তিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম কামারুজ্জামানের যোগ্য সন্তান। একজন যোগ্য মেয়র ও সংগঠক। অথচ এবার তাকে কেন্দ্রে কোন পদ দেওয়া হয়নি।
এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের (পশ্চিম) সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন বলেন, খায়রুজ্জামান লিটনকে কেন্দ্রে স্থান না দেওয়ায় মাধ্যমে আমাদের রাজশাহীকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এমনভাবে আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবহেলিত হচ্ছি। অথচ রাজশাহী বিএনপির অনেক নেতা যারা খায়রুজ্জামান লিটনের ছেলের বয়সী তারাও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতার পদ পেয়েছে।
রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবু বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীর মেয়র। অথচ কেন্দ্রীয় কমিটিতে তার জায়গা না হওয়া আমাদের জন্য দুঃখজনক।
শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ শাহাদত আলী শাহু বলেন, এক সময় বিএনপি-জামায়াতের আস্তানা হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর এই জনপদ খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে এখন আওয়ামী লীগের দখলে। সেই মানুষকে কেন্দ্রের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা আমদের জন্য হতাশার বিষয়। কেন্দ্রে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করার মতো কোন নেতা নেই। এই বিষয়গুলো আমাদের হতাশ করেছে।
এভাবেই থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দের সামনে তাদের অভাব-অভিযোগ ও বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সদস্য নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, প্রফেসর মেরিনা জাহান। এছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ