চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড সরোয়ার গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, সরোয়ার দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে ঢাকা বিমানবন্দরে এসে অবতরন করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে বিমানবন্দর থানার মাধ্যমে চট্টগ্রাম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সরোয়ার ভিন্ন নামে দুবাই থেকে দেশে ফিরছিল। তার বিরুদ্ধ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বায়েজীদ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার বলেন, সরোয়ার ভিন্ন নামে কাতার থেকে ফেরত এসেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসার জন্য আমাদের একটি টিম বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। সন্ধায় ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডার মামলার আসামি সাজ্জাদ দুবাই পালিয়ে থাকা অবস্থায় তার পক্ষে সন্ত্রাসী গ্রুপের দায়িত্ব নেয় সরোয়ার এবং ম্যাক্সন নামে দু’সন্ত্রাসী। সাজ্জাদের হয়ে তারা বায়েজীদ এবং অক্সিজেন এলাকায় নির্বিচারে চাঁদাবাজী করছিল। দুবাই থেকে সাজ্জাদের নির্দেশনা অনুযায়ী চাঁদা না পেলে স্থানীয়দের বাড়িতে গুলি বর্ষন এবং আগুন লাগিয়ে দিতো সরোয়ার ও ম্যাক্সনসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।'
সূত্র জানায়, ২০০০ সালের ১২ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে সাজ্জাদের নেতৃত্বে শিবির কর্মীদের ব্রাশফায়ারে ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলো। পরে এই মামলায় সাজ্জাদের সাজা হয়। কিন্তু ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেফতার হওয়া সাজ্জাদ বিগত বিএনপি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় জামিনে মুক্ত হয়ে দুবাই পালিয়ে যায়।
বিগত ২০১১ সালে বায়েজীদ থানা পুলিশ দু’টি একে ৪৭ রাইফেলসহ সরোয়ার এবং ম্যাক্সনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু ২০১৬ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যায়। তবে মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে থাকলেও তার অনুসারীরা নগরীর বায়েজীদ এলাকায় চাঁদাবাজী করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সরোয়ার এবং ম্যাক্সন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফোন করে চাঁদা দাবী করতো।
সূত্র জানিয়েছে, সরোয়ার আগেই কাতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। তারাই সরোয়ারকে বাংলাদেশগামী বিমানে তুলে দেয়। সরোয়ারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজীদ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছ পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার