খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ নমিতা রানী দাস নামে এক প্রসূতি রবিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এই হাসপাতালে ১৩ জন এ ধরনের দগ্ধ নারী ও পুরুষ মারা গেলেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গেলো আড়াই মাসে আগুনে দগ্ধ হয়ে ১১৫ জন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভর্তি হন। এর মধ্যে রবিবার সকাল পৌনে ৮ টায় মারা যান নমিতা রানী দাস নামে ওই প্রসূতি।
নমিতা রানী দাস রংপুর মহানগরীর চব্বিশ হাজারী দীপক কুমার রায়ের স্ত্রী।
গেল ২৮ জানুয়ারি সকালে গর্ভবতী ওই নারী আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার একটি সন্তান জন্ম হয়। একদিন পর সেই সন্তানটিও মারা যায়। এ নিয়ে এই হাসপাতালে এ ধরনের ১২ জন রোগী মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পর মারা গেছেন আরও একজন। এখনও এই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন ৩৩ জন। ৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬০ জন।
হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সিনিয়র রার্স বনিতা রানি রায় জানান, দগ্ধ হওয়ার কারণে নমিতা রানী রায়ের শরীরের ৪০ ভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছিল। ১৩ দিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। রবিবার সকালে তিনি মারা গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম