ফল জালিয়াতির অভিযোগ উঠার পর স্থগিত করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফল পুনরায় ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুনর্গণনায় ঝুড়ি প্রতীকের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর বিজয়ী হয়েছেন।
সোমবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে স্থগিত ওই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন।
তিনি জানান, এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর (ঝুড়ি) ২৪৭২ ভোট, জুবায়েদ আদেল (টিফিন ক্যারিয়ার) ২৪৪৫ ভোট, এ এম কাইয়ুম (রেডিও) ৭২৩ ভোট ও ইরোজ আহমেদ (ঘুড়ি) ১৪৩৮ ভোট। যেহেতু শেখ মোহাম্মদ আলমগীর ঝুড়ি প্রতীকে ৯টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ২৪৭২ ভোট পেয়েছেন, সেজন্য আমি সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত হিসাবে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মোহাম্মদ আলমগীরকে বিজয়ী ঘোষণা করলাম।”
এর আগে, দুই সিটির ভোটে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল একীভূত করে ঘোষণার পরই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ফল পাল্টানোর অভিযোগ উঠে। ওই কেন্দ্রে এক প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা একীভূত করার সময় অন্য প্রার্থীর পক্ষে যোগ করা হয়- এমন অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোটের পরদিন গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফল স্থগিত করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ৪২(১) অনুসারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড ৩১ নম্বরের নির্বাচনী ফল ঘোষণা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হল।”
পুরান ঢাকার লালবাগ, বংশাল এলাকা নিয়ে গঠিত এই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে গঠিত। গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া হিসাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর জানতেন দক্ষিণ সিটির ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি জিতেছেন ২৭ ভোটে। কিন্তু রাতে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে দেখতে পান টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী জুবায়েদ আদেলের কাছে তিনি ২১০ ভোটে হেরে গেছেন। পরে ফল জালিয়াতি করে তাকে ভোটে হারিয়ে দেয়ার অভিযোগ তোলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আলমগীর।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব