বিদেশী বন্ধু উপহার পাঠিয়েছে বাংলাদেশিকে। দামি উপহার। বিদেশী বন্ধুটি নিজেই ফোন করে জানিয়ে বলেছেন কাস্টমসে যোগাযোগ করতে হবে। তবে কাস্টমসে না গিয়ে টাকা শোধ করার উপায়ও বাতলে দেন সেই বিদেশি বন্ধু। তিনি জানান, একজন লোক ফোন করবে। তার কথা মতো কাজ করলেই হবে।
বাংলাদেশি বন্ধুটি খুশি। একদিন পর আরেক বিদেশি ফোন দেন। তিনি বলেন, সেই দামি উপহার এসেছে জার্মান থেকে। কাস্টমসে গিয়ে তারা সেই উপহার ছাড়াতে যেয়ে স্ক্যান করে দেখতে পান, দামি হীরা-মুক্তা। মূল্য হবে কয়েক কোটি টাকা।
এবার বাংলাদেশি বন্ধুর কাছে ছাড় করার টাকা চায়। কখনও ব্যাংক একাউন্ট, কখনও বিকাশ নাম্বার। টাকা দেওয়া শুরু হয়। শুরু হয় ৫০ হাজার টাকা থেকে। ঠেকে কখনও ৫০ লাখ, আবার কখনও কোটি টাকাতে। পরে বুঝতে পারে সেই বাংলাদেশি বন্ধু। তিনি প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন। কিন্তু আর কিছু করার থাকে না। বাইরের দেশের প্রতারক চক্র ততক্ষনে আরেক শিকারের খোঁজে মাঠে নেমেছে। এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত।সম্প্রতি 'সর্বনাশের উপহার'-চক্রের সদস্য নাইজেরিয়ার এক নাগরিককে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ জানায়, নাইজেরিয়ার চক্রের সদস্যরা ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে উপহারের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ