নিজের তৈরি করা 'কেএমসি' বাহিনীর মাধ্যমে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নুর পাপিয়া। গত মাসে পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন গ্রেফতার হলেও সেই পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই বাহিনীর ৩৫ সদস্য এখনও আত্মগোপনে থেকে পাপিয়ার সেই মাদকসাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে।
এদিকে, নরসিংদীর পৌর এলাকার ভাগজি মহল্লার বাড়ির সামনে পাপিয়ার সেই টর্চার সেল এখনও তালাবদ্ধ। তারপরও দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ সেটি দেখতে আসছে। চাঁদা না পেলে পাপিয়ার কেএমসি বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষকে ধরে এনে এই টর্চার সেলে নির্যাতন চালাতো।
কেএমসি বাহিনী সম্পর্কে এলাকায় খোঁজ নিয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এই বাহিনীর সব সদস্যের হাতে ট্যাটু আঁকা। এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই বাহিনীর যেসব সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রয়েছে পাপিয়ার দুই ভাই শুরু করে কারাখানার শ্রমিক, মুদি দোকানি, চা ও ফুচকা বিক্রেতা।এদের অনেকে পাপিয়ার মাদক কারবার দেখভাল করতো।
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের অপরাধকর্ম নিয়ে যেসব তথ্য আলোচনায় আসছে সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরদিন সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব