গভীর রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন ও এক বছরের সাজা দেয়ার বিষয়টি অবৈধভাবে করা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের তদন্তে এমনটাই প্রমাণ হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন রবিবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার অফিস সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু তাহের মাসুদ রানাকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি শনিবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। তদন্ত কর্মকর্তা কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারি নির্বাহী ম্যাজিস্টেট রিন্টু বিকাশ চাকমা, নিবার্হী ম্যাজিস্টেট নাজিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এছাড়া অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় যান এবং তার স্ত্রী ও স্বজনদের সাক্ষাতকার নেন।
তদন্তে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে গভীর রাতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়া আইন বহির্ভূত হয়েছে। তার বাড়িতে দলবল নিয়ে বাসার গেট ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তুলে নেওয়া অবৈধভাবে করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভিন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে রবিবারই তাকে জরুরিভিত্তিতে কুড়িগ্রাম থেকে প্রত্যাহার এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। প্রথমে তদন্ত প্রতিবেদনের খসড়া কপি জরুরি ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে স্বাক্ষর করে মূল প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তদন্তে সম্পূর্ণ বিষয়টি অবৈধভাবে করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জাকির হোসেন জানান, তদন্তে উঠে এসেছে গভীর রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, বাসার গেট ও ঘরের দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন করা অবৈধ ভাবে করা হয়েছে। আমরা ডিসিসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছি। তাদের ইত্যোমধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা ঢাকায় জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে যোগ দেয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল