শিরোনাম
- ‘যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করে না ইরান, যে কোনো অভিযানের জন্য প্রস্তুত’
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ
- দেশের প্রেক্ষাগৃহে আসছে নেপালি সিনেমা ‘মিসিং’
- ২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের
- ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন কেনিয়ার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী
- মুসলিম যুবকদের প্রতি প্রোগ্রামিং ও এআই শেখার আহ্বান
- ওড়িশায় যৌন হয়রানির বিচার না পেয়ে গায়ে আগুন দেয়া সেই ছাত্রী মারা গেছে
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ জুলাই)
- ট্রাস্টের আড়ালে কর ফাঁকির প্রবণতা
- হাজার কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন ১৮৩ ভিআইপি
- অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
- ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
- বাংলাদেশকে ছোট ভাই না, সমান মনে করতে হবে
- সেই সতর্কবার্তা এখন গুরুত্ব পাচ্ছে, রাজনীতিতে কাদা ছোড়াছুড়ি চরমে
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ, বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীতে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অসময়ে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে-এর আগে কোনো আম নামানো যাবে না। ১৫ মে থেকে গুটি জাতের আম পাড়তে পারবেন চাষিরা। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য জাতের আম নামানো যাবে। শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাষিরা গোপালভোগ আম নামাতে পারবেন ২০ মে থেকে। এছাড়া রানীপছন্দ ও লক্ষণভোগ বা লখনা ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রুপালি ১৫ জুন এবং ফজলি ১৫ জুন থেকে নামানো যাবে। সবার শেষে ১০ জুলাই থেকে নামবে আশ্বিনা এবং বারী আম-৪। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন, মুজিববর্ষে রাজশাহীর বিষমুক্ত আম হবে জাতির জন্য উপহার। এই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা প্রশাসক বলেছেন, অপরিপক্ব আম বাজারজাত ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। সুষ্ঠুভাবে মনিটরিং করে নির্দিষ্ট সময়েই আম নামানো হবে।
গেল কয়েক বছর ধরেই এভাবে আম পাড়ার সময় বেধে দিচ্ছে প্রশাসন। তবে এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আম বাজারজাত করা নিয়ে চাষিদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। তারা আম বিক্রি করতে পারবেন কি না সে চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই অনেকটা অনাদরেই বাগানে বেড়ে উঠছে আম। এ অবস্থায় আম পাড়ার সময় বেধে দেওয়ায় চাষিরা আরও ক্ষতির শঙ্কা করছেন।
তবে জেলা প্রশাসন বলছে, কৃষিপণ্য লকডাউনের বাইরে থাকায় চাষিদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ারে আম পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। ইতোমধ্যে সব উপজেলায় এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, অসময়ে আম পাড়া বন্ধে এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইড, পিজিআর, ফরমালিন, ইথিফনের মতো কেমিক্যাল ব্যবহারের মাধ্যমে যেন আম পাকানো না হয়, তার জন্য নামানোর ক্ষেত্রে সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং পুলিশ কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। তবে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে কোথাও নির্ধারিত সময়ের আগে গাছে আম পাকলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে চাষিরা আম পাড়তে পারবেন।
রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় এবার ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান আছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। গাছে ফলন মোটামুটি ভাল।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর