নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ৩২০ জন অসহায় ও দুস্থ নারী পুরুষের মাঝে তেহারি ও খিচুড়ি তুলে দিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে থানায় আসা ৩২০ জন অসহায় ও দুস্থ নারী পুরুষকে ইফতারের জন্য রান্না করা গরুর মাংসের তেহারি ও সবজি ও ডিম খিচুড়ি তুলে তিনি। এছাড়াও তিনি লকডাউনের কারণে কর্মহীন অসহায়, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে নিয়মিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছেন।
এদিকে, রাত নেমে আসলেই ওসির উপহার পাওয়ায় আশায় দলে দলে থানায় ছুটে আসছেন অসহায় মানুষ। প্রায় প্রতিদিনই অসহায় মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত মানুষও ফোন করে এসএমএস করে সহায়তা চাচ্ছেন।
এসএমএস পাওয়ার পর নাম গোপন রেখে মধ্যবিত্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি ওসির উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা। ইতিমধ্যে করোনা রোগীদের সেবা ও নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৮ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েক জন পুলিশ সদস্য করোনা রোগেও আক্রান্ত হয়েছে। এতেও থেমে থাকেনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কামরুল ফারুক। অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি ইফতার বিরতণ করে আসছেন ওসি।
গত ৭ এপ্রিল অসহায়, দরিদ্র, (সনাতন ধর্ম্মাবলম্বী) ১২টি হিন্দু পরিবারকে উপহার সামগ্রী হিসাবে (চাউল,আটা, তৈল,লবণ, ডাল) প্রদান করা হয়। তাছাড়া একই দিন টেলিফোন এবং ম্যাসেজের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আরও ০৮টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
একই ভাবে ৫ এপ্রিল অসহায়, দরিদ্র পরিবারের ৫১ জনকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এবং মোবাইল ফোন ও ম্যাসেজ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আরও ১০টি পরিবারকে উপহার সামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার পরিবার থেকে শিখেছি কিভাবে দেশকে ভালোবাসতে হয়। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি আল্লাহ করোনায় আমার মৃতুও লিখে রাখে, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ কোনো আক্ষেপ নেই। এটা আল্লাহ তা’আলার হুকুম।
তিনি বলেন, থানার পুলিশ সদস্যদের রেশনের পাশাপাশি সমাজের মানুষের কাছ থেকে নিয়ে এ উপহার সামগ্রী বিতরণ করতে পেরেছি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত