বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- আরও ১৪ জেলায় নতুন ডিসি
- ওবায়দুল কাদের ও মডেল মেঘলার ফোনালাপ ফাঁস
- মেয়ের জন্মকে স্মরণীয় রাখতে ২০০ পরিবারে ফলজ চারা উপহার
- বিএনপির সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না: মফিকুল হাসান তৃপ্তি
- ‘টেকসই উন্নয়নে তারুণ্য শক্তিকে মানবসম্পদে রূপ দিতে হবে’
- নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী দিপু’র গণমিছিল
- সিদ্ধিরগঞ্জে তরুণীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণে’র অভিযোগে মামলা
- জিয়াউর রহমান দেশ থেকে বাকশাল দূর করেছিলেন: মঈন খান
- চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি প্রার্থী শরীফুজ্জামানের গণসংযোগ
- সিংড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
- কৃষকদের কাছ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল কিনবে সরকার
- বীরগঞ্জে ‘ষষ্ঠক নেতা কোর্স’ সম্পন্ন, নেতৃত্ব বিকাশে স্কাউটিং-এর ওপর জোর
- নারায়ণগঞ্জে গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় ডায়াথার্মি মেশিন বিতরণ
- ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন শহিদ জহির রায়হানের ছেলে, যা বললেন মা সুচন্দা
- আগাম ফুলকপি-বাঁধাকপি চাষে অনেকের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে
- বাগেরহাটের নতুন জেলা প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন
- ভিয়েতনামে স্যান্ডউইচ খেয়ে ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি
- শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চালু করল ইউজিসি
- চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন আইভী
রাজশাহী নগরীতে বেড়েছে চোরের উপদ্রব
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেকে আগেই শহর ছেড়ে গ্রামে গেছেন। অনেকে আবার এখন ঈদ করতে গেছেন গ্রামের বাড়ি। শহরে ফাঁকা আছে ভাড়া বাড়ি। এসব বাড়িতে হানা দিচ্ছে চোর। শুধু বাসা-বাড়ি নয়, অফিস এবং দোকানপাটেও ঘটছে চুরির ঘটনা। ব্যস্ততম এলাকা থেকেও গায়েব হয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। পুলিশ বলছে, তারা চোরদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে চোরেরা হানা দিয়েছে। নগরীর বোসপাড়া এলাকায় লিয়াকত আলীর বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে সম্প্রতি এই কার্যালয়টি করা হয়েছে। রাত ৩টার দিকে চোরেরা কাউন্সিলরের কার্যালয়ের দুটি ঘরের দুটি জানালা ও জানালার গ্রিল ভেঙে ফেলে। এছাড়া একটি বাথরুমের ভেন্টিলেটরের গ্রিল ভাঙা হয়। রাত ৩টার দিকে বাসার দোতলা থেকে শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় লিয়াকত আলীর। তিনি উঠে লাইট অন করেন। বিষয়টি টের পেয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, চোরেরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ে যেতে পারেনি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তারপরও কিছু খোয়া গেছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সজাগ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আশপাশের এলাকার মেসগুলোতে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। বিশ^বিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার সুযোগে চোরেরা সেদিকে উপদ্রব শুরু করেছে। গত দুই মাসে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর ও স্টেশন বাজারের কয়েকটি মেসে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৪ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজার এলাকার এক মেসের ৮টি তালা ভেঙে সমস্ত মালামাল চুরি হয়েছে। এমনকি চোরদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটও। ওই মেসের ভুক্তভোগীদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগে শিক্ষার্থী সুজন আলী বলেন, ‘হঠাৎ করে ছুটির ঘোষণার কারণে বাসায় পড়ার জন্য কয়েকটা বই ছাড়া আর কিছুই আনিনি মেস থেকে। গত ১৫ তারিখ আমার ফোনে এক অপরিচিত লোক ফোন করেন। ওই লোকটি জানান যে, সরদহের কোনো এক পরিত্যক্ত জায়গায় আমার সার্টিফিকেট ও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি তথ্যগুলো মিলিয়ে দেখি যে ওইগুলো সব আমারই কাগজপত্র। এরপর আমি তাৎক্ষণিক মেস মালিককে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। ঘটনার একদিন পরে আমার কয়েকজন মেসমেট গিয়ে দেখে কিছু আর অবশিষ্ট নেই ফ্যান, টিভি, লাইট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, বইখাতা, পোশাক, লেপ তোষক এমনকি টিউবওয়েলের মাথাটাও খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা।’
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডির মহসীন মেসে বসবাসকারী রাবি দর্শন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী তৌহিদুল হক তুহিন বলেন, ‘হঠাৎ ছুটির ঘোষণার কারণে আমি আমার সব কাগজপত্র ট্রাংকে সাবধানে রেখে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন পরই মেসে চুরির ঘটনার শিকার হই। আমার ট্রাংকসহ লাগেস, লেপ-তোষক, প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র চুরি হয়েছে। আমার সার্টিফিকেটগুলোও রাজশাহীর ওই মেস তো দূরের কথা আরেকটি উপজেলা গিয়ে পাই। আমরা ১৬ জন একই মেসে থাকি। আমার রুমমেটের সার্টিফিকেট এখনও পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে এমন একের পর এক চুরি দুঃখজনক।’
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, করোনা পরিস্থিতিই এমন অবস্থার কারণ। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই বেকার হয়ে গেছেন, কর্মহীন হয়ে গেছেন, তাদের আয়ের কোন পথ নেই, যদি কোন ব্যক্তির কর্মসংস্থান না থাকে, সে যদি বেকার হয়ে যায়, তার রুটি রুজির ব্যবস্থা না থাকে, তখন তার নৈতিক স্খলন হতে পারে এবং সে অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়। তবে এসব চোরদের ধরার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর আছে। নগরীতে পর্যাপ্ত পুলিশি পাহারাও আছে। এরপরও দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে, এমন দেশ থেকে আমদানিনির্ভরতা কমবে : প্রেস সচিব
১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়
মরিচের গুঁড়া ছুড়ে স্বর্ণালংকার চুরির চেষ্টা নারীর, খেয়ে বসলেন ২৫ সেকেন্ডে ২০ চড়
১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন