বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেছেন, সারাদেশেই নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে নদীর প্রশস্ততা বৃদ্ধি ও নাব্যতা রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএ কাজ করে যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে বন্দর এলাকায় শীতলক্ষ্যার তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুনরায় যাতে দখল না হয় সেজন্য আমরা সীমানা পিলার স্থাপন করছি। কিছু এলাকায় আমরা খননের মাধ্যমে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিয়েছি এবং কিছু এলাকায় বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
সীমানা পিলার স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। ঢাকায় ইতিমধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন প্রকল্পের কাজ ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে আমার পিছিয়ে ছিলাম। মাত্র ২৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে আশা করছি চলতি বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যার তীরে সীমানা পিলার স্থাপন করা সম্ভব হবে। দ্রুত সীমানা পিলার স্থাপন করে আমরা ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও বনায়ন কর্মসূচি হাতে নিব।
শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় শীতলক্ষ্যার তীরভূমি উচ্ছেদ পরবর্তী পুন:দখল রোধকল্পে বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় বনায়ন কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনকালে এসবল কথা বলেন তিনি।
বনায়ন কর্মসূচি শেষে তিনি শীতলক্ষ্যার পূর্ব তীরে বন্দর খেয়াঘাট থেকে সিএসডি খাদ্যগুদাম ও মেরিন টেকনোলজি পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মেম্বার (পরিকল্পনা ও পরিচালন) মো: দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ পরিচালক মোবারক হোসেন প্রমুখ।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের বন্দর সেন্ট্রাল খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় শীতলক্ষ্যার তীরভূমি উচ্ছেদ শেষে খননের মাধ্যমে নদী প্রশস্ত করা হয়। পরে ওই এলাকায় বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রায় ৩শত বৃক্ষরোপণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল