ঢাকা উত্তরের মিরপুর-১০ ও ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় ও দক্ষিণে পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় সবচেয়ে বেশি এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে। টানা ১০ দিন ধরে (১৮ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ) দুই সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০টি স্থানে চালানো এক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা যায়। রবিবার জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে জাতীয় ম্যালেরিয়ার নির্মূল এবং এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আফসানা আলমগীর খান। আফসানা আলমগীর জানান, তিন হাজার বাড়িতে জরিপ চালিয়ে ১২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। দুই হাজার ৮৭৬টি বাড়িতে তা পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ডিএনসিসির আটটি ও ডিএসসিসির ছয়টি স্থানে ব্রুটো ইনডেস্ক ১০-এর বেশি পাওয়া গেছে। ডিএনসিসির ১৯টি ও ডিএসসিসির ৩৭টি স্থানে ব্রুটো ইনডেক্স ১০-এর নিচে। ব্রুটো ইনডেক্স শূন্য পাওয়া গেছে ডিএনসিসির ১৪টি ও ডিএসসিসির ১৬টি স্থানে। যেসব স্থানে এডিস মশা পাওয়া গেছে তার মধ্যে ৫১ দশমিক ৩৪ শতাংশই বহুতল ভবন। এছাড়া ২০ দশমিক ৩২ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বস্তি এলাকা, ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ একক ভবন ও দুই দশমিক ৯৮ শতাংশ খালি জমি।
তিনি আরোও জানান, ডিএসসিসির ৫৯টি ও ডিএনসিসির ৪১টি স্থানের মোট তিন হাজার বাড়িতে জরিপ চলে। এর আগে বর্ষা মৌসুমে চালানো জরিপে ডিএনসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কল্যাণপুর, পাইকপাড়া ও মধ্য পাইকপাড়া এলাকায় বিআই পাওয়া গিয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তখন ডিএসসিসির ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের মীর হাজারিবাগ, ধোলাইপাড় ও গেণ্ডারিয়া এলাকায় সর্বোচ্চ বিআই ৪০ পাওয়া গিয়েছিল।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জিদ খুরশিদ রিয়াজ, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. জোবায়েদুর রহমান ও ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরিফ আহমেদ, আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা