ঢাকার মোহাম্মদপুরে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পরিবারের করা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে, পলাতক আছেন নিহতের এক বান্ধবী ও অজ্ঞাতপরিচয় আরেক আসামি। ওই বান্ধবীর নাম নেহা। তিনি সুস্থ বা জীবিত আছেন কি না, তা জানতে ইতোমধ্যে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
৩০ জানুয়ারি নিহত তরুণীর সহপাঠী আরাফাত (২৮) ধানমন্ডিতে সিটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ইতোমধ্যে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে, কোথায় তাকে দাফন করা হয়েছে সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রয়োজনে তার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও দুই নম্বর আসামি নুহাত আলম তাফসীরকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মামলার এজাহারনামীয় আরেক আসামি আরাফাত (২৮) মারা গেছেন। এখন এই মামলার পলাতক দুই আসামি নেহা ও অজ্ঞাতপরিচয় যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তাদের খুঁজে পেলে গত ২৮ জানুয়ারি রাতে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বো শ্যুটস (Bamboo Shoot) করা মদের পার্টি ও পরবর্তীতে মোহাম্মদপুরের ওই বাসায় ধর্ষণের ঘটনার বিষয় অনেক তথ্য জানা যাবে। এ ছাড়া পূর্বপরিকল্পিত পার্টির আয়োজনে সেখানে মদের ব্যবস্থা কে করেছে এবং মদের সরবরাহকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে, প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আমরা ঘটনার বিষয় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মামলা এখন তদন্তাধীন।
তিনি বলেন, নিহত তরুণীর পলাতক বান্ধবী নেহা ও তার সঙ্গে থাকা ওই যুবককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মদ পানে মারা যাওয়া আরাফাতের কবর শনাক্তে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এ ছাড়া আসামি ও নিহত তরুণী মোবাইল ফোন ও ফেসবুক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেখানে তারা কীভাবে যোগাযোগ করে পার্টিতে গিয়েছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ