সজীব হাসান নামে এক যুবকের ৫ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রাজধানীর ওয়ারী এলাকা থেকে গ্রেফতার শাহনাজ পারভীন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে শাহনাজ পারভীনকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তিতে শাহনাজ পারভীন জানান, তিনি প্রায় দুই বছর ধরে কে এম দাস লেনের ১৭/১ নম্বর বাড়ির চার তলার বাসায় গিয়ে সজীবের সঙ্গে ড্রেসে পুঁথি বসানোর কাজ করতেন। তার ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। বড় মেয়ে কলেজে পড়ে আর দুই ছেলে চাকরি করেন। স্বামী ব্যবসা করেন। সজীবের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়।
‘এই সুবাদে পরকীয়া প্রেমিক সজীব তার বাসায় যাতায়াত করতেন। এর মধ্যে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সজীবের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সজীবকে বেশ কয়েকবার সতর্কও করেন। এক পর্যায়ে সজীব তাকে মোবাইল ফোনে তার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করার ভিডিও দেখায়। এটা দেখে তিনি লজ্জায় পড়ে সজীবকে খুনের পরিকল্পনা করেন।’
শাহনাজ আরও জানায়, ‘পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ব্যাগে কাপড় ভরে তিনি সজীবের বাসায় ওঠেন এবং মেয়ের ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। তখন সজীব তাকে জানায় যে যদি তার মেয়েকে ওই বাসায় আনতে পারে তবেই ভিডিও ডিলিট করা হবে। এবং সেটা দেখিয়ে সজীব তার (শাহনাজের) স্বামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা এনে দিতে বলে। এসব বিষয় নিয়ে আলাপ করার এক পর্যায়ে সজীব ঘুমিয়ে পড়ে। তখন তিনি রান্নাঘর থেকে বটি এনে ঘুমন্ত সজিবকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সায়েদাবাদের কে এম দাস লেনের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই যুবকের খণ্ড খণ্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে প্রেমিকা শাহনাজকে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক