দেশব্যাপী মহানগরী সমূহে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে আজ চট্টগ্রাম, গাজীপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহে বিএনপির মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
সোমবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতি জানান, চট্টগ্রামে পুলিশ হামলা চালানোর পর মহানগর আহ্বায়ক ডা. শাহাদাৎ হোসেন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ আলী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, যুগ্ম সম্পাদক আঁখি সুলতানা, প্রচার সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদা লিটা, রিনা খানসহ ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। ময়মনসিংহে বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান-এফ আই ফারুক, এ্যাড. ওয়াসিম, ছাত্রদল নেতা ইমন চৌধুরী, গোবিন্দ রায়, যুবদল নেতা-আলী ও স্বপন। তিনি জানান, পুলিশের হামলায় চট্টগ্রামে মারাত্মকভাবে নগর যুবদল নেতা তৈয়ব আলী, আনিসুজ্জামান, আব্দুর রহিম, মোঃ হেলাল, সাহাবুদ্দিন সাবু, শাহেদ তৈমুর, মঞ্জুর আলম, মোঃ ইলিয়াসসহ ৪০ জন, খুলনা ৯ জন, গাজীপুর তিনজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন,‘খুলনা মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশের শেষ মুহুর্তে পুলিশ চতুর্দিক থেকে বিনা উস্কানীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লাঠিচার্জের মাধ্যমে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ ও হামলায় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ নেতৃবৃন্দদের গ্রেফতার করার পাঁয়তারা চালায়। দীর্ঘক্ষণ নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। খুলনা মহানগরীর ৯জন নেতাকর্মী পুলিশের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভা-সমাবেশ করা মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার হলেও সভা-সমাবেশে হামলা, মামলা, গ্রেফতারসহ দমন, নিপীড়ণ চালিয়ে রাজনীতির পথকেই সংকুচিত করে ফেলেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন