করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে কঠোর হচ্ছে রংপুর প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, চেম্বার ও পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা সরকারি নির্দেশনা মানতে জনগণের মাঝে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তবে মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে, জনগণের মাঝে সচেতনতার বালাই নেই। রাস্তায় অধিকাংশ মানুষই মাস্কছাড়া চলাচল করছে। বিশেষ করে তরুণরা করোনাকে তোয়াক্কাই করছে না।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পালনে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ছিল মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শবেবরাত। ওই দিন রাতে নগরীর কামাল কাছনা মসজিদসহ বেশকটি মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে মুসল্লিদের অধিকাংশ স্বাস্থ্যবিধি মানেননি।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বেশকটি বিপণন বিতান ঘুরে দেখা গেছে সেখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই মাস্কছাড়া পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছেন। অটোরিকশাতে গাদাগাদি করে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪৪ জনের দেহের নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত এই জেলায় ৩৩ হাজার ৫২৮ জনের দেহে নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ১৬৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন।
জেলা প্রশাসক অসিব আহসান বলেন, জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে কঠোর হবে প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই