বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- ৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
- সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
- দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
- চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
- ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
- শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
- ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
- জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
- বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
- মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
- নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
- ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
- সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
- মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
- বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
- পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী
- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ রাজ্যের মামলা
- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক
রাজশাহীতে কৃষি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর পুঠিয়ায় খাদিজা আক্তার (৪৫) নামের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত খাদিজা বেগম উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ওহাব আলীর স্ত্রী। তিনি পবা উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খাদিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় খাদিজার স্বামী ওহাব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, খাদিজার স্বামী তাদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে খাদিজা আক্তার, তার স্বামী ও শিশু সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে বিছানায় না দেখে খাদিজার স্বামী ঘরের বাইেের এসে দেখেন, বাড়ির পুরাতন একটি ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী খাদিজা আছে। সেসময় তার স্বামী ও বাড়ির অন্যান্য সদসদের সহযোগিতায় তাকে তীর থেকে নামানো হয়। ততক্ষণে সে মারা যায়। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
খাদিজা আক্তারের ভাই আবুল কালাম বলেন, মরদেহের শরীরে আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই। তাকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া ওই বাড়ির পাশের কোনো লোক খাদিজাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেনি। প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ বলেন, ওহাব আলী ও খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। খাদিজার পিতার বাড়ি বগুড়া জেলা সদরে। চাকরির কারণে তারা দুজনই রাজশাহী শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কিন্তু প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ওহাব নগরীর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত। সে তার স্ত্রীর উপর মাঝে মধ্যে নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার বিকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরপর রাতে কি হয়েছে তা পাশের বাড়ির কেউ জানেন না। ভোরে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন বলছেন, খাদিজা আত্নহত্যা করেছেন।
নিহতের ছেলে গালিব (৯) বলেন, ‘ঘটনার রাতে এই বাড়িতে তারা তিন ভাই মা-বাবা ও দাদী ছাড়া কেউ ছিলেন না। রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। বাবা ও মার মধ্যে কোনো ঝগড়া বা মারামারি আমরা দেখতে পাইনি। এরপর অনেক রাতে দাদী আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেছেন। এরপর গিয়ে দেখি মা মরে গেছে। তবে কিভাবে মরেছে তা আমি জানি না।’ নিহতের স্বামী ওহাব আলী বলেন, ‘আমরা রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে পড়ি। এরপর সে কখন উঠে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে তা বুঝতে পারেনি। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছোট ছেলে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর তাকে রুমে না পেয়ে খোঁজাখুঁশি শুরু করি। বাড়ির পুরনো ঘরের তীরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। এরপর সকালে থানায় খবর দেওয়া হয়।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের ভাই মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ স্বামী ওহাব আলীকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত কৃষি কর্মকর্তা খাদিজার মামা তানভীর রিমন জানান, আগে থেকেই তার ভাগ্নিকে নির্যাতনের খবর তারা জানতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে। গলায় দেওয়ার কথা বললেও পুলিশ আসার আগেই তারা মরদেহ মাটিয়ে নামিয়ে রাখে। তারা নিশ্চিত, খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে তারা মামলা করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর