বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
- ধানের শীষে দেশের মানুষের আস্থা রয়েছে: দুলু
- ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ৪৩৬ জন
- যেভাবে স্মার্টফোনেই মিলবে ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা
- এমন ভূমিকম্প আগে কখনও অনুভব করিনি : ফারুকী
- ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশনা
রাজশাহীতে কৃষি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর পুঠিয়ায় খাদিজা আক্তার (৪৫) নামের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত খাদিজা বেগম উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ওহাব আলীর স্ত্রী। তিনি পবা উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খাদিজাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় খাদিজার স্বামী ওহাব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, খাদিজার স্বামী তাদের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে খাদিজা আক্তার, তার স্বামী ও শিশু সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে বিছানায় না দেখে খাদিজার স্বামী ঘরের বাইেের এসে দেখেন, বাড়ির পুরাতন একটি ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী খাদিজা আছে। সেসময় তার স্বামী ও বাড়ির অন্যান্য সদসদের সহযোগিতায় তাকে তীর থেকে নামানো হয়। ততক্ষণে সে মারা যায়। পরে পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
খাদিজা আক্তারের ভাই আবুল কালাম বলেন, মরদেহের শরীরে আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই। তাকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে। তাছাড়া ওই বাড়ির পাশের কোনো লোক খাদিজাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেনি। প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ বলেন, ওহাব আলী ও খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়েছে প্রায় ২০ বছর আগে। খাদিজার পিতার বাড়ি বগুড়া জেলা সদরে। চাকরির কারণে তারা দুজনই রাজশাহী শহরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। কিন্তু প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ওহাব নগরীর পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত। সে তার স্ত্রীর উপর মাঝে মধ্যে নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার বিকালেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। এরপর রাতে কি হয়েছে তা পাশের বাড়ির কেউ জানেন না। ভোরে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন বলছেন, খাদিজা আত্নহত্যা করেছেন।
নিহতের ছেলে গালিব (৯) বলেন, ‘ঘটনার রাতে এই বাড়িতে তারা তিন ভাই মা-বাবা ও দাদী ছাড়া কেউ ছিলেন না। রাতে আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। বাবা ও মার মধ্যে কোনো ঝগড়া বা মারামারি আমরা দেখতে পাইনি। এরপর অনেক রাতে দাদী আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেছেন। এরপর গিয়ে দেখি মা মরে গেছে। তবে কিভাবে মরেছে তা আমি জানি না।’ নিহতের স্বামী ওহাব আলী বলেন, ‘আমরা রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে পড়ি। এরপর সে কখন উঠে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে তা বুঝতে পারেনি। পরে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ছোট ছেলে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর তাকে রুমে না পেয়ে খোঁজাখুঁশি শুরু করি। বাড়ির পুরনো ঘরের তীরে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। এরপর সকালে থানায় খবর দেওয়া হয়।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের ভাই মামলা করেছেন। ওই মামলায় পুলিশ স্বামী ওহাব আলীকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত কৃষি কর্মকর্তা খাদিজার মামা তানভীর রিমন জানান, আগে থেকেই তার ভাগ্নিকে নির্যাতনের খবর তারা জানতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালানো হয়েছে। গলায় দেওয়ার কথা বললেও পুলিশ আসার আগেই তারা মরদেহ মাটিয়ে নামিয়ে রাখে। তারা নিশ্চিত, খাদিজাকে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে তারা মামলা করেছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর