১ হাজার শয্যার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছে দেড় হাজারের উপরে। এর মধ্যে আড়াইশ’ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলো ২৪৪ জন। রোগী এবং স্বজনদের চাপে দম বন্ধ অবস্থা হয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে। এ অবস্থায় বিভাগের ৬ জেলার জেনারেল হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরী ও জটিল রোগী ছাড়া অন্যান্য রোগীদের বিভাগীয় সদরের শের-ই বাংলা মেডিকেলে না পাঠাতে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে এই চিঠি প্রেরণ করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল বিভাগে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। চলতি জুলাই মাসে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশংকা রয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেলে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ রোগী বাড়ছে। করোনা ওয়ার্ড ছাড়াও মেডিকেলের অন্যান্য ওয়ার্ডে গড়ে চিকিৎসাধীন থাকছেন দেড় হাজারের বেশী রোগী। এ কারণে শের-ই বাংলা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ছোট খাটো কাটা ছেড়া-জখম, সর্দি, কাশি ও জ্বর আক্রান্ত রোগী না পাঠাতে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিল। এর প্রেক্ষিতে যেসব রোগীকে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব তাদের অতি জরুরী ছাড়া শের-ই বাংলা মেডিকেলে না পাঠাতে ৬ জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন দেড় সহস্রাধিক রোগী ভর্তি থাকছে শের-ই বাংলা মেডিকেলে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ শ’ রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এর মধ্যে ছোট খাটো কাটা ছেড়া-জখম, সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন ২ শতাধিক রোগী। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে প্রায় আড়াই শ’ রোগী। বহির্বিভাগে গড়ে আড়াই হাজার রোগীর সেবা দেয়া হয় প্রতিদিন। বিপুল সংখ্যক এই রোগীর বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৯৮জন।
পরিচালক বলেন, শের-ই বাংলা মেডিকেলে আসা অধিকাংশ রোগীকে জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। তারপরও তাদের বিভাগীয় সদরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এতে শের-ই বাংলা মেডিকেলে করোনা ও জটিল রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যহত হচ্ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল