রংপুরের পীরগাছায় পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার পরে মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জর খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বামীর পরিবার বিষয়টি আত্মহত্যা বলে জানালেও তার আপন ভাই বলছে, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান। নিহত গৃহবধূ হাজেরা বেগম (৩৬) ওই গ্রামের কীটনাশক ব্যবসায়ী সাহেব আলীর স্ত্রী ও পার্শবর্তী কল্যাণী ইউনিয়নের তালুক উপাসু গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের মেয়ে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই ফজর আলী জানান, নিহত হাজেরা বেগমের স্বামী কীটনাশক ব্যবসায়ী সাহেব আলী দীর্ঘদিন থেকে পরকীয়ায় আসাক্ত। তাদের সংসারে তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিলো। গত বুধবার রাতেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজেরা বেগমকে মারপিট করে সাহেব আলী। বৃহস্পতিবার রাতে আবারও বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া সৃষ্টি হলে হাজেরা বেগমকে বেদম মারপিট করে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। এতে হাজেরা বেগম অচেতন হয়ে পড়লে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে রাত ২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে হাজেরা বেগম মারা যান।
পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ