আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, যারা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার কুখ্যাত সন্তান তারেক জিয়া এবং বাবর হাওয়া ভবনে বসে শেখ হাসিনাকে হত্যার যে নীল নকশা করেছিলো তার অনুসারীরাই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর মেহেরবানীতে তিনি বারবারই নতুন জীবন পান। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা করা হয়ছিলো। এখন সময় এসেছে রায় কার্যকর করার। খুব শিগগিরই ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৯ জনকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হবে।
সোমবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও শহীদদের স্মরণে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারের পতন ঘটানো হবে। কিসের গণঅভ্যুত্থান? যারা পাকিস্তানের এজেন্ট। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পেছনে জড়িত। জাতির পিতার হত্যকারীদের বিচার না করে বিদেশে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে। যে জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন অথচ তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। লন্ডনে বসে গণঅভ্যুত্থানের চিন্তা করলে হবে না।
তিনি মির্জা ফখরুলকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মত আর কোনো নারকীয় ঘটনা বাংলার মাটিতে জন্ম দেয়া যাবে না। যদি এ ধরনের ঘটনার চিন্তা করা হয় ও সাহস দেখানো হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। মনে রাখবেন এটা ১৯৭৫ সাল নয়, এটা ২০২১ সাল।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২ ও ’৬৪ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬- এর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৮ এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৬৯ এর ৫ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ, বঙ্গবন্ধু উপাধি, ’৭০ এর নির্বাচনে বিজয়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অবদান ছিল চিরস্মরণীয়। সুতরাং আওয়ামী লীগকে দমিয়ে রাখা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব প্রতিকূলতা দূর করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবেই।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন