জাগো ফাউন্ডেশন ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংলাপে আলোচনায় বক্তারা যুব ও নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য একটি ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করে। যা যুবসমাজের মাঝে একটি ইতিবাচক এবং অর্থপূর্ণ যোগদানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
৬৪ জেলা থেকে যুব প্রতিনিধি ও বিভিন্ন জাতীয় দলের নীতি নির্ধারকদেরকে নিয়ে জাগো ফাউন্ডেশন ও এশিয়া ফাউন্ডেশন সংলাপটি আয়োজন করে।
এতে আওয়ামী লীগ, ন্যাশনালিস্ট পার্টি এবং জাতীয় পার্টির তিনজন প্যানেলিস্ট উপস্থিত ছিলেন। তারা নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় ও সুষ্ঠ শিক্ষা ব্যবস্থায় যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করে এবং এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নাহিম রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা নিঃসন্দেহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু আমরা জানি না যে, আমরা এখনও প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুত কিনা। আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আরও প্ল্যাটফর্ম বা আলোচনা প্রয়োজন, যেখানে আমাদের মতো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এসে কথা বলতে পারেন।
এছাড়াও জাতীয়তাবাদী দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল বলেন, আমাদের শিক্ষক এবং কর্তৃপক্ষকে মানসিকভাবে হতাশ ছাত্রদের গ্রহণ এবং তাদের সাহায্য করার জন্য প্রশিক্ষিত করা উচিত এবং আমাদের স্কুলগুলিকে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে, নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান এমপি নাহিম রাজ্জাকের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, 'আমাদের দেশে অনলাইন শিক্ষা খুব বাস্তবসম্মত নয় কারণ সবার অর্থনৈতিক পটভূমি এবং সুযোগ-সুবিধা সমান নয়। এই বৈষম্য হ্রাস পাবে যদি আমরা গ্রান্ট এবং ভর্তুকিযুক্ত হারের মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং ডিভাইস সরবরাহ করতে পারি। এছাড়াও রাজনীতিতে যুবদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণদের গাইড করতে হবে, কমিউনিটি কাজ আমাদের সমাজকে বদলে দিতে পারে।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির