রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামত করা হচ্ছে না কার স্বার্থে। এ প্রশ্ন এখন নগরবাসীর মুখে মুখে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে অর্থ আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রমেক হাসপাতালের এনজিও গ্রাম মেশিনটি ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে হৃদযন্ত্রেও সঠিক পরীক্ষা, স্থায়ী ও অস্থায়ী পেসমেকার এবং রিং স্থাপন বন্ধ রয়েছে। যারা পেসমেকার ও রিং স্থাপনের জন্য আসছেন তাদের ঢাকা অথবা অন্য কোথাও যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের শুধু প্রাথমিক চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছে।
রমেক হাসপাতালে এনজিও গ্রাম মেশিন চালু হয় ২০১১ সালে। এনজিওগ্রাম মেশিন বিকল হওয়ার পর থেকে সেখানে হৃদযন্ত্রে স্থায়ী ও অস্থায়ী পেসমেকার এবং রিং স্থাপনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই বিভাগের ৩টি ইকো মেশিনের সবগুলোই নষ্ট। সিটি স্ক্যান মেশিনও নষ্ট। রোগীদের সিটি স্ক্যান বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। রক্ত পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষাও করতে হচ্ছে বাইরে থেকে। এছাড়া আরও বেশকিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
গত এপ্রিল মাসে কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় ১ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পরে এক ব্যক্তির উদ্যোগে এটি চালু করা হয়। এমআরআই মেশিনটি দীর্ঘদিন নষ্ট থাকার পরে সম্প্রতি চালু হয়েছে। জেলা সুজনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালের এনজিগ্রাম মেশিনসহ বেশকিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। এর ফলে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীরা পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন। এতে রোগীর স্বজনরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল ইসলাম বলেন, নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামতের চাহিদাপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
