রংপুরে এক স্কুলশিক্ষাথীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মেহেদী হাসান রাব্বী পলাতক ছিলেন। এ মামলায় আরও ৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের এক শিক্ষা কর্মকর্তা রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় পরিবার নিয়ে বাস করতেন। তার মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই শিক্ষার্থীকে একই এলাকার ভাড়াটিয়া প্রতিবেশী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করত। অভিযুক্ত রাব্বী ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১০ জুলাই রংপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ সাতদিন পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহরণকারীসহ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। প্রায় ৩ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে অপহরণের অভিযোগে আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে ১৪ বছর এবং ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। অপর চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলার মূল আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে এই সাজা দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর