জাল মেডিকেল সনদ দাখিল করে আদালতে মামলা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মাহফুজ আলম বাদীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাল সনদের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিচারক মো. মাসুম বিল্লাহ অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
হাজতে যাওয়া অভিযুক্ত হলেন-বাকেরগঞ্জ উপজেলার রূপারজোর এলাকার জয়নাল সরদারের ছেলে লুৎফর রহমান। তিনি গত ৪ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় বিচার আদালতে একই এলাকার পাঁচজনের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভাবী রেহেনা বেগমকে গত ৩০ মার্চ অভিযুক্তরা মারধর করে গুরুতর জখম করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী লুৎফর।
নালিশির সাথে সাথে ফিরিস্তি হিসেবে শের-ই বাংলা মেডিকেলের ডা. মাহবুবুর রহমান নামে স্বাক্ষর করা একটি মেডিকেল সনদ দাখিল করেন বাদী। পুলিশ ব্যতীত মেডিকেল ভিকটিমের সনদ পাওয়ার বিধান না থাকা সত্ত্বে বাদী সনদ দাখিল করায় আদালত রহস্য দেখতে পায়। বাদী লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নিজ হাতে এই সনদ সংগ্রহ করেছেন বলে আদালতে জবাব দেন। আদালত ডাক্তারি সনদ যাচাই করতে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন।
পরিচালকের নির্দেশ মতে শেবাচিম হাসপাতালের ডা. মাহবুবুর রহমান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে যাচাই করতে পাঠানো সনদে সিল ও স্বাক্ষর তার নয় এবং কোনো ভিকটিমকে মেডিকেল সনদ দেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করেন তিনি। ডাক্তারি প্রতিবেদনে লুৎফর রহমান জাল ডাক্তারি সনদ দাখিল করেছে বলে প্রমাণ পায় আদালত।
এজন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতের পক্ষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মাহফুজ আলম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত লুৎফর রহমানকে সিডব্লিউ মূলে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই