ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫টি ইউনিয়নে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীদের মধ্যে যে হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তাতে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ১৫৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৬৮০টি ভোট কক্ষ রয়েছে। ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬ ও নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৪৫ জন। প্রতি ইউনিয়নেই বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহীরা।
বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের ওপর ব্যাপক হামলা ও ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। এখন নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সুষ্ঠু ভোট হবে কিনা। আর ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারবে কিনা। এনিয়ে চরম শঙ্কায় আছেন তারা।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, চৌহাট, বালিয়া, সোমভাগ, বুশাকান্দা যাদবপুরের অধিকাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রগুলো ব্যাপক নজরদারিতে রাখা হবে।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম জানান, ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরবে, সে দায়িত্ব নিয়েই মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেন্দ্রে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই