গাজীপুরের টঙ্গী তুরাগ নদের উপর নির্মিত টঙ্গী সেতুর বিভিন্নস্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় ঢাকাগামী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পুরনো সেতুর পশ্চিম পাশে নবনির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল করতে শুরু করে।
অপরদিকে, গাজীপুরগামী যানবাহনের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে টঙ্গী কামারপাড়া রোড ব্যবহার করলেও কমেনি অসহনীয় যানজট। তবে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানজট দেখা দেয়। সেতু সচল ও যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুরনো সেতুর ধসে পড়া অংশের সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
সরেজমিন জানা যায়, টঙ্গী তুরাগ নদের উপর নির্মিত টঙ্গী-আব্দুল্লাপুর সংযোগ সড়কে দুইটি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে আগের একটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং বড় বড় গর্তসহ বিভিন্ন অংশ ধসে পড়তে শুরু করেছে। বিকল্প সড়ক হিসেবে সেতু দুইটির পশ্চিম পাশে একটি বেইলি ব্রিজ রয়েছে। ওই ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল করছে। অফিস-আদালত খোলা থাকায় রবিবার সকাল থেকেই মহাসড়েক যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজট। শুরু হয় জনদুর্ভোগ।
তাছাড়া গাজীপুরে বিআরটি’র প্রকল্পের কাজের চলামান এবং দুইদিন ধরে বৃষ্টির কারণে যানজটের পরিমাণ বেড়েছে। ঢাকাগামী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। ১৫-২০ মিনিট পর আনুমানিক চার-পাঁচ ফুট করে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সড়ক পথের যাত্রীরা রাজধানীতে প্রবেশের জন্য ট্রেন ব্যবহার করায় রেলপথে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। শনিবারের মত রবিবারও পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে দেখা গেছে।
টঙ্গী রেল জংশনে দাড়িয়ে থাকা লিটন মিয়া জানান, সবসময় সড়ক পথেই যাতায়াত করেন। কিন্তু সেতু বন্ধ থাকায় গত শনিবার থেকে ট্রেনে যাতায়াত করছেন। গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত আসতে অনেক সময় লেগেছে। একদিকে বিআরটি’র প্রকল্পের কাজ, আরেক দিকে ব্রিজ ভাঙা। আবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। যানজটতো থাকবেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃষ্টি ও বিআরটি’র প্রকল্পের কাজের জন্য মহাসড়কে কিছু কিছু স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজ সংস্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ওয়ানওয়ে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। গাজীপুরসহ উত্তরবঙ্গের পরিবহন সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। আর ঢাকার গাড়িগুলো কামারপাড়া সড়ক দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করছে। এতে কিছুটা সুফল মিলেছে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানার পুলিশ সদস্যরাও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রকল্প পরিচালক মো. মহিরুল ইসলাম খান বলেন, সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। কাজ শেষ হতে ৮-১০ দিন লাগতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই