নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, সাংবাদিকতা করলে সত্য বলবেন, নাহলে লেখবেন না। এটা হওয়া উচিত। আমি সবকিছু খোলামেলা ভাবে বলতে পারছি না। সিদ্ধিরগঞ্জে অনেক উইপোকা ঢুকে গেছে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আমার সাথে খাতির নেই। যারা আমাদের কর্মীদের রক্ত নিয়েছে তাদের সাথে খাবার ভাগাভাগি করো খান। শামীম ওসমান ছাড় দিবে না।
শনিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল চৌধুরীবাড়ী এলাকায় রয়েল প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম ওসমান বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাধীনতার স্বপক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি সম্পন্ন হবে। আগামী ৩১ তারিখের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জের ১০ ওয়ার্ডে ফরম দিয়ে বাবার নাম-ঠিকানাসহ জমা দিতে হবে। পরিবারের কেউ রাজনীতি করে কিনা তাও থাকতে হবে। এটার মধ্যে তুমি ওটায় থাকব আমি এটা চলবে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে কোনো পক্ষ বিপক্ষ দেখবেন না। যারা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন তাদের আনতে হবে। নতুনদেরও সামনে আনতে হবে। সংখ্যায় কম হলে আপত্তি নেই। তবে ধান্ধাবাজ চাই না, এক নম্বর লোক চাই। মাত্র ৫০১ জন দিয়ে শুরু করুন। সবাই কর্মী কেউ নেতা থাকবে না। ৫০১ জন করে কমিটি যত দ্রুত সম্ভব ৩১ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করুন।
এর আগে বন্দর উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডেও এরকম কমিটি করার কথা বলেন তিনি। সবাইকে এ লক্ষ্যে নির্দেশনা দেন শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, পদ পদবি দিতে পারব না। শুধু অকৃত্তিম ভালবাসা দিতে পারব দোয়া করতে পারব। মুখোশ পড়ার রাজনীতির চাই না। নীতির প্রশ্নে যারা আপোষ করে মানুষ তাদের বেইমান বলে। সামনে আমার কোন নির্বাচন আছে, নেই। তারপরেও বলছি প্রস্তুতি নেন। ৫০১ জন নিয়ে শুরু করবো। কর্মীদের নিয়ে শুরু করেন, কেউ আমাদের কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চাইলে সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের খেয়ে আমার জন্য কাজ করেছেন। আমি আপনাদের প্রত্যেককে চিনতে চাই। যেন এলাকায় পা দেয়ার সাথে সাথে বলতে পারি সকলকে ডাকো। সেই এলাকায় ৫০১ জনই এমপি, আমি একা নই।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী সহ-সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নাসিক কাউন্সিল মতিউর রহমান মতি, নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ইফতেখার আলম খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাসান নিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. তাজিম বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূইয়া রাজু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ নেতা কাজী আমির হোসন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রিয়াদ, যুবলীগ নেতা মহসিন ভূইয়া, শ্রমিক নেতা মো. আশরাফ উদ্দিন, যুবলীগ নেতা খন্দকার মানিক মাস্টার যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন
